ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। তাদের সংখ্যা ২২০০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে তারা দেশে ফিরতে পারবেন। গতকাল অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত অবৈধ অভিবাসীদের দু’মাসের জন্য সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেয়ার প্রস্তাব করে। তাদেরকে তাদের স্ব স্ব দেশের কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে এ সুযোগ নিতে বলা হয়। এর সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হয় গতকাল। এর মধ্যে এশিয়ার দেশগুলো থেকে যারা এ সুযোগ নিয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলেন বাংলাদেশী। তাদের মোট সংখ্যা সঠিকভাবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে আবু ধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে জানা গেছে, তাদের সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি। মোট কি পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ওই সুযোগ গ্রহণ করেছেন তাদের সংখ্যা পরে প্রকাশ করার কথা রয়েছে। তবে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অভিবাসীর সংখ্যা বেশি- এমনটা নিশ্চিতভাবেই বলা যাচ্ছে। বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তানের অবস্থান। এ দেশের এ সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৪৬৫ জন। ভারত রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। ভারতের ৩৩০০ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়ার যেসব দেশ থেকে অভিবাসী গিয়েছেন তার মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও নেপাল। সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণকারীদের মধ্যে এ অঞ্চলের শ্রমিকই বেশি। যারা এ সুযোগ গ্রহণ করেছেন তাদের পাসপোর্ট নেই। তারা নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের কাছ থেকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য জরুরি সনদ (ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট) সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে এমন সনদ পাওয়ার পর তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে দেশে ফেরার অনুমতি চাইবেন। সেখান থেকে অনুমতি দেয়ার পর তারা ওই দেশ ত্যাগ করতে পারবেন। এর অর্থ হবে- তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধ ভিসায় প্রবেশ করেছিলেন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, গত ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে ৪ঠা জানুয়ারির মধ্যে ১০৬টি দেশের কমপক্ষে ২০ হাজার অবৈধ অভিবাসী সেদেশের অভিবাসনবিষয়ক কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের ৯৪০০ জন সে দেশ ছেড়েছেন। আবু ধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নাজমুল কুইনাইন বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৪৭০০ জনকে আউটপাস দিয়েছে আবু ধাবি দূতাবাস এবং দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ১৬২৯৭ জনকে ওই পাস দিয়েছে। তিনি বলেন, সব মিলে শ্রমিকের সংখ্যা ২২ হাজারের ওপরে যাবে। ২০০৭ সালে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের মাধ্যমে এমন সুযোগ নিয়েছিলেন ৪০ হাজার ৫০০ শ্রমিক। সে তুলনায় এ সংখ্যা এবার বলা চলে অর্ধেক।মানবজমিন