সৌজন্যে: দ্য টেলিগ্রাফ IIIIIII
অনলাইন ডেস্ক : বইয়ের নাম ‘গবলিনপ্রুফিং ওয়ানস চিকেন কপ’। আপনি কীভাবে মুরগির খাঁচা ভূতের আছর থেকে রক্ষা করতে পারেন—এ নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। আছে মুরগির খাঁচা রক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনাও। আজব বিষয় নিয়ে এই উদ্ভট বই লিখে এবার ৩৫তম ‘অ্যানুয়াল ডায়াগ্রাম প্রাইজ’ প্রতিযোগিতায় ‘দ্য অডেস্ট বুক টাইটেল অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছেন লেখক রেজিনাল্ড বেকলে ও ক্লিন্ট মার্শ। ‘কীভাবে চায়ের কেটলির ঢাকনা পৃথিবীকে বদলে দিল’ বইটি দ্বিতীয় পুরস্কার জিতেছে। বইটির ইংরেজি নাম ‘হাউ টু কজিস চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড’। লেখক লোয়ানি প্রিওর। বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কারের প্যারোডি পুরস্কার বলা যেতে পারে এই পুরস্কারকে। যে কেউ বই লিখে এই পুরস্কার জিতে নিতে পারেন। তবে শুধু লিখলেই হবে না, পুরস্কার পাওয়ার মতো করে বইটিকে উদ্ভট ও আকর্ষণীয় করে লিখতে হবে। বিচারকেরা যদি মনে করেন, ওই বছর এর চেয়ে উদ্ভট কোনো বই প্রকাশিত হয়নি, তবেই শিকে ছিঁড়বে ভাগ্যে। ১৯৭৮ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ডায়াগ্রাম গ্রুপ ও ‘বুকসেলার’ নামের ব্রিটিশ একটি ম্যাগাজিন প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেয়। তারপর প্রতিবছর বেশ কয়েকটি শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অনলাইন ভোটের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় অনলাইনে দেওয়া এক হাজার ২২৫টি ভোটের মধ্যে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন রেজিনাল্ড বেকলে ও ক্লিন্ট মার্শের ‘গবলিনপ্রুফিং ওয়ানস চিকেন কপ’ বইটি। আর ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় পুরস্কারটি পেয়েছে লোয়ানি প্রিওরের ‘হাউ টু কজিস চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড’ বা ‘কীভাবে চায়ের কেটলির ঢাকনা পৃথিবীকে বদলে দিল’ বইটি। এ ছাড়া এই প্রতিযোগিতার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল হেনরিক এবারলে ও হ্যান্স জোয়াচিম নিউম্যানের ‘ওয়াজ হিটলার ইল?’ ও ডেভিড রিজের ‘হাউ টু শার্পেন পেনসিলস’ বইটি। অ্যানুয়াল ডায়াগ্রাম প্রাইজের আয়োজক ফিলিপ স্টোন বলেন, পুরস্কারটা মজার মনে হলেও প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা বইয়ের নামের ব্যাপারে খুব সচেতন। কারণ, এই একটি নামই বইটিকে অন্য বই থেকে বেশি বিক্রির জন্য আলাদা করে দেয়।প্রথম আলো