প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৫:২৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৫, ২০১৩, ২:১৫ পি.এম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিক্সিং-শঙ্কা
![]()

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে একসময় ‘অপ্রত্যাশিত’ কিছু বলে আখ্যায়িত করেছিলেন আইসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী ম্যালকম স্পিড। এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতিযোগিতাকে এখন দেখা হয় ‘মিনি বিশ্বকাপ’ হিসেবে। ৬ জুন মাঠে গড়াচ্ছে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই শঙ্কা জাগছে ফিক্সিংয়ে কালো ছায়ার। কারণটা যে সাম্প্রতিক সময়ের ‘অপ্রত্যাশিত’ সব ঘটনা, তা বোধ হয় বলার অপেক্ষা রাখে না। আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড়। ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ১৬ মে ভোরে রাজস্থান রয়্যালসের ভারতীয় তিন ক্রিকেটার শ্রীশান্থ, অজিত চাণ্ডিলা ও অঙ্কিত চাভানকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। কেলেঙ্কারিটা অবশ্য শুধু তিন ক্রিকেটার আর জুয়াড়িদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ডালপালা ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউডের অভিনেতা বিন্দু দারা সিং। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান গুরুনাথ মায়াপ্পনকে। এই মায়াপ্পন আবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের জামাতা। এ অবস্থায় শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। প্রবল দাবির মুখে গত রোববার রাতে এক মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রীনিবাসন। এর আগে পদত্যাগ করেন আইপিএলের প্রধান রাজিব শুক্লা। ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশও। বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ফিক্সিং-বিতর্কে এসেছে দুই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ ও খালেদ মাসুদ এবং বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের নামও। আইপিএল-বিপিএলের ফিক্সিং কেলেঙ্কারি সাম্প্রতিক ঘটনা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে ভেসে আসছে কয়েক বছর আগের স্মৃতিও। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় বাটকে ১০ বছর, আসিফকে সাত বছর ও মোহাম্মদ আমিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। স্পট ফিক্সিংয়ের মাধ্যমে গোপনে অবৈধ অর্থ নেয়া ও প্রতারণা করার অপরাধে ২০১১ সালের নভেম্বরে বাটকে আড়াই বছর, আসিফকে এক বছর এবং আমিরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন যুক্তরাজ্যের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত। কারাগারে ভালো আচরণ করলে বিদেশি নাগরিকদের আগেই ছেড়ে দেয়ার আইন আছে যুক্তরাজ্যে। ওই আইনের কল্যাণে অর্ধেক সাজা খাটার পর মুক্তি পান আমির, আসিফ ও বাট। ক্রিকেটে দুর্নীতির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কারাভোগের ঘটনা এটাই প্রথম। ২০১০ সালের কেলেঙ্কারিময় ওই সফরের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। অতীত আর সাম্প্রতিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাড়তি সতর্ক থাকবেন আইসিসির দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা। এর পরও যে ফিক্সিংয়ের কালো হাত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে স্পর্শ করবে না, এর নিশ্চয়তা কে দেবে!আমার দেশ
Copyright © 2025 USA NEWS ONLINE. All rights reserved. Developed by TEKSERV.