অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার : নারীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে নিরাময় করা সম্ভব। জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা। ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ঝুঁকি ১. অল্প বয়সে বিয়ে, একাধিক বিয়ে, একাধিক যৌনসঙ্গী কিংবা স্বামীর একাধিক যৌনসঙ্গী। ২. ঘন ঘন সন্তান ধারণ। ৩. দীর্ঘদিন একটানা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন (১২ বছরের অধিক সময়)। ৪. তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার যেমন ধূমপান, পানের সঙ্গে জর্দা, তামাক পাতা সেবন ও তামাকের গুঁড়া ব্যবহার। ৫. অপুষ্টি। প্রতিরোধে চাই সচেতনতা ১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও সুশৃঙ্খল যৌনজীবন যাপন করা। ২. নিয়মিত পেপস স্মেয়ার টেস্টে অংশ নেওয়া। ৩. ৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এইচপিভি টিকা নেওয়া। চারজনে একজন আমাদের দেশে মেয়েদের ক্যানসারের ২৫ শতাংশই হলো জরায়ুমুখে ক্যানসার। ২০ : বছরের নিচে এ রোগ হয় না। ৩৫-৫৫ বছর বয়সী নারীরা আক্রান্ত হন। লক্ষণ: প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। সহবাসের পর রক্তের ফোঁটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। পানির মতো স্রাব/ সাদা ঘন স্রাব/ দুর্গন্ধ স্রাব/ লাল পানির মতো স্রাব (সঙ্গে রক্তক্ষরণ) দেখা যায়। মাসিকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ পরীক্ষা: পেপস স্মেয়ার পরীক্ষার মাধ্যমে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, এমনকি ক্যানসার-পূর্ব অবস্থায় এ রোগ শনাক্ত করা যায়। এতে কোনো ব্যথা হয় না। খরচও কম। ৬৪: বছর পর্যন্ত প্রতি তিন বছর পর পর পরীক্ষা দরকার। বিয়ের তিন বছর পর থেকে পেপস স্মেয়ার পরীক্ষা শুরু করা উচিত।প্রথম আলো