ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান খন্দকার আব্দুল্লাহ। তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে আব্দুল্লাহ ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশি ডেপুটি ইন্সপেক্টর।
বর্তমানে খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সর্বপ্রথম তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এর আগে নিউইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন পদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিকরা কাজ করলেও কেউই এ পদমর্যাদা পাননি। নিউইয়র্ক পুলিশের পরের ধাপের পদবি পুলিশ কমিশনার। তার অব্যাহত পরিশ্রম তাকে এনওয়াইপিডি’তে প্রধানের পদে উন্নীত করবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশিরা।
খন্দকার আবদুল্লাহ জানান, ২০০৫ সালের সামারে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগ দেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। তিনি কলেজে পড়ার সময় জব ফেয়ারে দেখেন এনওয়াইপিডিতে লোক নেওয়া হচ্ছে। তখন অনেকটা খেয়ালের বশে তিনি খন্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার স্বপ্ন তাঁকে পেয়ে বসে সেই সময়েই। ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ নেন কমিন্যাল জাস্টিসে স্নাতক খন্দকার আব্দুল্লাহ। ২০১৩ সালে তিনি এনওয়াইপিডির সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০১৬ সালের আগস্টে খন্দকার আব্দুল্লাহ আবার লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পান। পরে বিভাগীয় চূড়ান্ত পরীক্ষার পর খন্দকার আবদুল্লাহ ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খন্দকার আবদুল্লাহ তাঁর কর্মের জন্য এর মধ্যে পুলিশের অনেক পদক লাভ করেছেন।
জানা যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিবাসী হয়ে ১৯৯৩ সালে খন্দকার আব্দুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সিলেটের বালাগঞ্জ থানার তালতলা গ্রামের প্রয়াত খন্দকার মদব্বির আলী ও মুহিবুন্নেসা চৌধুরীর ছেলে খন্দকার আবদুল্লাহ শিশুকালে যুক্তরাষ্ট্রে এলেও সাবলীল বাংলায় কথা বলেন। খন্দকার আব্দুল্লাহ স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লংআইল্যান্ড এলাকায় বসবাস করেন। নিউইয়র্কে কুইন্সের এস্টোরিয়া আর উডসাইড এলাকায় তাঁর বেড়ে ওঠা। কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তার উপস্থিতি লক্ষণীয়।