ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক ডলার ব্যয় হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসেবে জানা গেছে। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় দুই লক্ষাধিক, বিজয়ী ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের চার লক্ষাধিক আর বিজিত ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের নির্বাচনী ব্যয় হচ্ছে তিন লক্ষাধিক ডলার। সংশ্লিস্ট সূত্রের প্রাথমিক হিসেবে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে নির্বাচন কমিশন ৬ নভেম্বর বুধবার নির্বাচনের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর রোববার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেও ‘আমব্রেলা সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক (২০২৫-২০২৬) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। খবর ইউএনএ’র।
বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্বাচনী ব্যয় প্রসঙ্গে বলেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবছর চেষ্টা করেছি সম্ভব স্বল্প খরচের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনী সকল ব্যয় হিসাব-নিকাশ করা হয়নি তবে প্রাথমিক হিসেবে কমিশনের দুই লক্ষাধিক ডলার খরচ হতে পারে বলেই আমার ধারণা। তবে এই হিসাব একেবারেই প্রথমিক। তিনি জানান, নির্বাচনী ব্যয়ের মোটা অর্থ খরচ হয়েছে ভোটের দিন।
অপরদিকে বিজয়ী ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের নির্বাচনে প্রাথমিক হিসেবে ব্যয় হয়েছে চার লক্ষাধিক ডলার। এমন তথ্য জানিয়েছেন নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। নির্বাচনী ব্যয়ের মধ্যে ভোটার সদস্য/নবায়নে মোটা অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রচার, সভা-সমাবেশ, পোষ্টার, অ্যাপায়ন এবং ভোটের দিন অন্যান্য জরুরী বিষয়ে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এই প্যানেলের ব্যয়ের মোটা অর্থ এসেছে, সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং নির্বাচন পরিচারণা কমিটির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক লায়ন শাহ নেওয়াজের ডোনেশন থেকে। এর বাইরে প্রার্থী, শুভাকাঙ্খী ও অন্যান্য মহল থেকেও অর্থের যোগান এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিজিত ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের নির্বাচনী প্রাথমিক ব্যয় হচ্ছে তিন লক্ষাধিক ডলার। এমন তথ্য জানিয়েছেন সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল আমীন সিদ্দিকী। নির্বাচনী ব্যয়ের মধ্যে ভোটার সদস্য/নবায়নে মোটা অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রচার, সভা-সমাবেশ, পোষ্টার, অ্যাপায়ন এবং ভোটের দিন অন্যান্য জরুরী বিষয়ে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এই প্যানেলের ব্যয়ের মোটা অর্থ এসেছে, সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল আমীন সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহিদ মিন্টুর ডোনেশন থেকে। এর বাইরে প্রার্থী, শুভাকাঙ্খী ও অন্যান্য মহল থেকেও অর্থের যোগান এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের নির্বাচনী ব্যয়ের মোটা অর্থের যোগান দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহিদ মিন্টু।