ডেস্ক : বিশ্বের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর কিছু অংশে উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে। দারিদ্র্য হ্রাসের এই হার বজায় থাকলে ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বের 'চরম দারিদ্র্য' দূর করা সম্ভব হবে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দারিদ্র্য ও মানব উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পে (ওপিএইচআই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দারিদ্র্য হ্রাসের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রুয়ান্ডা, নেপাল ও বাংলাদেশের নাম রয়েছে। এসব দেশের বর্তমান প্রজন্মের জীবদ্দশাতেই দারিদ্র্যের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘানা, তানজানিয়া, কম্বোডিয়া ও বলিভিয়াও দারিদ্র্য দূরীকরণে সক্ষমতা অর্জনের পথে রয়েছে। গবেষণায় দারিদ্র্য পরিমাপে নতুন সূচক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এ পদ্ধতির নাম মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই) বা বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক। ২০১০ সালে এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন ওপিএইচআইয়ের পরিচালক ড. সাবিনা আলকায়ার এবং তাঁর সহযোগী ড. মারিয়া এমা সান্টোস। এ পদ্ধতিতে দারিদ্র্য পরিমাপে ১০টি সূচক ব্যবহার করা হয়। এতে আয়ের সঙ্গে পুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিক্ষা গ্রহণের বছর এবং উপস্থিতি, রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি, পানি, পয়োনিষ্কাশন, বিদ্যুৎব্যবস্থা এবং ঘরের মেঝে ঢাকার ব্যবস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে। ওপিএইচআইয়ের মতে, দারিদ্র্য পরিমাপের নতুন এ পদ্ধতি বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশগুলোয় দারিদ্র্যের অবস্থা বুঝতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও দাতা দেশগুলোকে সাহায্য করবে। এদিকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ প্রকাশিত সর্বশেষ উন্নয়ন প্রতিবেদনেও বিশ্বে দারিদ্র্য হ্রাসের হার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, "এক ঐতিহাসিক পুনঃ ভারসাম্য লক্ষ করা যাচ্ছে। ৪০টি গরিব দেশে প্রবৃদ্ধি আগের থেকে বেড়েছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে 'বৈশ্বিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে' উঠে আসতে পেরেছে।" সূত্র : গার্ডিয়ান।কালের কণ্ঠ