সুহাস বড়ুয়া হাসু : বোস্টন বাংলা নিউজ/বাপস নিউজ: ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের ৬নং বাড়িটি নিয়ে দেশব্যাপী যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সেই বাড়িটি আসলে প্রতিরৰা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের 'এ' ক্যাটাগরির সম্পত্তি। এই ধরনের সম্পতি কারও নামে লিজ বরাদ্দ দেয়ার কোন বিধান নেই। বেগম জিয়ার নামে ক্যান্টনমেন্টের সম্পত্তি উচ্চপদস্থ কয়েক সামরিক কর্মকর্তা বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করেছিলেন। ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার বেগম খালেদা জিয়ার নামে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে দু'টি বাড়ি বরাদ্দ দেন। বেগম জিয়ার নামে শুধু দু'টি বাড়িই বরাদ্দ দেয়া হয়নি, তাঁর সংসার ও দুই ছেলের লেখাপড়া বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এককালীন ১০ লাখ টাকা এবং প্রতিমাসে ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো। সরকারের কাছ থেকে এই রকম সুযোগ-সুবিধা দেশের আর কোন পরিবার পায়নি।
সংশিস্নষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তৎকালীন সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল আমজাদ আহমেদ চৌধুরীর সুপারিশের ভিত্তিতে বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি বরাদ্দ দেয়ার আগে গুলশানে একটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ওই বাড়িটি নিষ্কণ্টক না হওয়ার কারণে পরে দেড় বিঘা জমির একটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সে বাড়িটি বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন বেগম জিয়া। খালেদা জিয়ার নামে দু'টি বাড়ি বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি লে. জেনারেল (অব.) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি বরাদ্দ প্রক্রিয়াই ছিল ভুল। দ্য মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস (এমইএস) রেগুলেশন ১৯৬৪ এর ২২১ নং রেগুলেশনের বিধান অনুযায়ী সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত কোন সামরিক ভূ-সম্পত্তি কোন বেসামরিক ব্যক্তির অনুকূলে বিক্রি, ইজারা বা অন্য কোন প্রকারে হসত্মানত্মরের সুযোগ নেই। সরকার, রাষ্ট্রপতি বা অন্য কোন কতর্ৃপৰেরও অনুরূপ হস্তান্তরের কোন এখতিয়ার ছিল না। এই এখতিয়ার এখনও নেই। ফলে বেগম জিয়ার অনুকূলে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল রোডের ৬নং বাড়ির ২ দশমিক ৭২ (১৬৮ কাঠা) একর জমি ও তার উপর ভবনাদি লিজ প্রদানের নিমিত্ত সেনাসদর কিউএমজি শাখা হতে ১৯৮১ সালের ১০ জুলাই প্রেরিত প্রসত্মাব ও প্রসত্মাবের প্রেৰিতে পরবর্তীতে গৃহীত কার্যক্রম আইনগত এখতিয়ারবহিভর্ূত ছিল।
এমইএস রেগুলেশনের ২২১নং -এ সামরিক ভূ-সম্পত্তি ক্রয় এবং পরিত্যাগ (রিলিংকুইশমেন্ট) বিষয়ে বিধান রয়েছে। কোন সামরিক ভূ-সম্পত্তি অনাবশ্যক বিবেচিত হলে তা পরিত্যাগ করা যাবে। সামরিক ভূ-সম্পত্তি পরিত্যাগ সম্পর্কিত বিসত্মারিত বিধি-বিধান ১৯৪৪ সালের 'দ্য একু্যইজিশন, কাস্টডি, রিলিংকুইশমেন্ট এটসেটরা অব মিলিটারি ল্যান্ডস (এসিআর-রম্নলস)'-এ রয়েছে। এ ৰেত্রে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল রোডে অবস্থিত বিষয়োক্ত সম্পত্তি খালেদা জিয়ার অনুকূলে পরিত্যাগ করা হয়নি এবং অনুরূপ পরিত্যাগের কোন সুযোগ আইনে বিদ্যমান নেই।
১৯৩৭ সালের 'দ্য ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ড এ্যাডমিনিস্ট্রেশন রম্নলস (সিএলএ রম্নলস)'-এর ২৬ বিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়ার অনুকূলে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডে অবস্থিত বিষয়োক্ত সমপত্তি বরাদ্দ প্রদান করার কথা বলা হলেও উক্ত ২৬ বিধি অনুযায়ী কেবলমাত্র জনস্বার্থ সংশিস্নষ্টতার (পাবলিক ন্যাচার) বিশেষ ৰেত্রে উন্মুক্ত নিলাম ও দর পরিহার করে বিশেষ মূল্য বা খাজনায় কোন ব্যক্তিবিশেষের অনুকূলে ইজারার মাধ্যমে সামরিক ভূ-সম্পত্তি হসত্মানত্মরের বিধান রয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুকূলে অনুরূপ পাবলিক ন্যাচার বিবেচনায় এই সম্পত্তি ইজারা প্রদান করা হয়নি। বাড়িটি বরাদ্দ দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল সুদুরপ্রসারী। ৰমতার মসনদ করায়ত্ত করতে বাড়িটি সেই সময় বরাদ্দ দিয়ে দেশবাসীর একটি বিরাট অংশের সহানুভূতি নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বাড়ি বরাদ্দের সুফল এইচএম এরশাদ ভোগ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক বিরোধ জিইয়ে রেখে ৰমতা থেকে তাঁকে বিদায় নিতে হয়। বাড়িটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবার ফিরিয়ে নিয়েছে। বাড়িটি ফিরিয়ে নেয়ার কারণে বিএনপি দুই দফা হরতাল কর্মসূচী আহ্বান করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সেনানিবাস একটি সংরৰিত এলাকা। বেগম খালেদা জিয়া শহীদ মইনুল রোডে অবস্থিত ৬নং বাড়িতে বসবাস করে দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর যাবত রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করে আসছেন। সেনানিবাসের অভ্যনত্মরে সংরৰিত এলাকায় অবস্থিত একটি সেনা ভবনে অবস্থান করে রাজনৈতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত থাকা এবং রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করা অনভিপ্রেত, বেআইনী এবং সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা, সেনা স্থাপনা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
দ্য ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ডস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন রম্নলস-১৯৩৭ এর বিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ভূমিসমূহের শ্রেণীবিন্যাস করা আছে। এই শ্রেণীবিন্যাসে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর অফিসারদের সরকারী বাসভবন এ-১ শ্রেণীভুক্ত জমি। যেহেতু ৬নং মইনুল রোডের বাড়িটিতে পূর্বে অন্য সেনা কর্মকর্তাদের বসবাসের উদাহরণ রয়েছে এবং ১৯৭২ সাল থেকেই একজন উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে মে. জেনারেল জিয়াউর রহমান উক্ত বাড়িতে বসবাস করেছেন সুতরাং উক্ত বাড়িটিকে এ-১ শ্রেণীভুক্ত জমি ছাড়া অন্য কোন শ্রেণীভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। ১৯৮১ সালের ১০ জুন এই বাড়ি বরাদ্দের বিষয়ে সেনাসদর হতে প্রতিরৰা মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেটি ছিল আইনবহিভর্ূত। বাড়িটি সেনাবাহিনীর অফিসারদের সরকারী বাসভবন হওয়ায় ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রম্নলস ১৯৩৭ এর রম্নল ২৬ অনুযায়ী এই বাড়ি প্রাইভেট এগ্রিমেন্ট দ্বারা লিজ দেয়াটা আইন বিরোধী ছিল এবং 'এ্যাজ এ জেসচার অব গুডউইল' হিসাবেও সরকার কতর্ৃক হসত্মানত্মরযোগ্য ছিল না। লিজ দলিল দ্বারা বেগম জিয়া কোনো ক্যান্টমেন্টের বাড়ির স্বত্ব অর্জন করেননি। দ্য ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ডস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন রম্নলস-১৯৩৭ এর বিধান অনুযায়ী সরকারের অনুমোদনসাপেৰে এবং কালেক্টরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শুধুমাত্র ধর্মীয় ও জনস্বার্থ সংশিস্নষ্ট কাজে সেনানিবাসস্থ কোনো দালান লিজ প্রদানের বিধান আছে। কিন্তু ৬ নং শহীদ মঈনুল রোডের বাড়ির লিজটি এ ধরণের কোন উদ্দেশ্যে প্রদান না করায় তা বেআইনী, অবৈধ ও জনস্বার্থ পরিপন্থী হিসাবে উলেস্নখ করা হয়েছে। বাড়িটির কথিত লিজ দেয়ার পূর্বে সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক ১৯৮১ সালের ৭ জুলাই প্রতিরৰা মন্ত্রণালয়কে এক চিঠিতে বলেছেন, এই লিজের ৰেত্রে প্রতিরৰা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক অনুমতিপত্র থাকা উচিত ছিল। কিন্তু বাসত্মবে এ ধরনের কোন আনুষ্ঠানিক অনুমতিপত্র ছাড়াই কথিত দলিলটি করা হয়েছে, যা আইনানুগ নয় বিধায় বাতিলযোগ্য। এর পরও বেগম জিয়া অবৈধভাবে ২৭ বছরের বেশি সময় এই বাড়িতে বসবাস করেছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমানের মৃতু্যর পর ১৯৮১ সালের ১২ জুন মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় তাঁর পরিবারকে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে_ (১) ঢাকা শহরের উপযুক্ত স্থানে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বাড়ি ক্রয় করে অথবা গুলশানে একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করে অথবা সরকারের কাছে পরিত্যক্ত/ন্যসত্ম একটি উপযুক্ত বাড়ি ১ টাকা প্রতীকী মূল্যে বেগম জিয়া ও তাঁর পুত্রদ্বয়কে পূর্ণ মালিকানা স্বত্বের অধিকারী করে তাঁদের কাছে হসত্মানত্মর করা হবে। (২) বেগম জিয়া ও পুত্রদ্বয়কে এককালীন ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হবে। (৩) পুত্রদ্বয়ের দেশে ও বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করা হবে এবং ২৫ বছর বয়স না হওয়া পর্যনত্ম তাদের প্রত্যেককে মাসিক দেড় হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। (৪) বেগম জিয়াকে অনুদান হিসাবে চালক ও জ্বালানিসহ একটি গাড়ি দেয়া হবে। এছাড়াও সরকারী খরচে টেলিফোন, বাসভবনে উপযুক্ত নিরাপত্তা, সরকারী খরচে বেগম জিয়া ও তার পুত্রদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা, সরকারী খরচে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, দু'জন বেয়ারা, একজন বাবুর্চি, একজন মালি ও একজন ঝাড়ুদার নিয়োগ; বাড়িতে গ্যাস, বিদু্যৎ ও পানি ব্যবহারের খরচ সরকারী তহবিল থেকে প্রদানের সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছিল মন্ত্রিপরিষদের ওই সভায়।
মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধানত্ম অনুযায়ী রাষ্ট্র বেগম জিয়াকে সকল সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দেয়া সত্ত্বেও অনুচিত পন্থায় ঢাকা সেনানিবাসের ৬নং শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি নিজ নামে গ্রহণ করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদের ওই সভার সিদ্ধানত্মে ৬নং শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি বরাদ্দ প্রদানের কোন উলেস্নখ ছিল না। মন্ত্রিসভার সিদ্ধানত্ম মোতাবেক গুলশানে ১ বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমির উপর একটি বাড়ি বরাদ্দ ও হসত্মানত্মর প্রক্রিয়াধীন জেনেও বেগম জিয়া ৬নং শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি নিজের দখলে রেখেছেন।
ঢাকা শহরে সাধারণ নাগরিকগণকে ৩/৫ কাঠা জমি বরাদ্দ দেয়াই যখন কষ্টসাধ্য সেখানে ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে ২ একর ৭২ শতাংশ জমি বেগম জিয়ার নামে বরাদ্দ দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ন্যায়নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সেনানিবাস এলাকায় রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও মইনুল রোডের বাড়িটিতে রাত-দিন রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হতো। সেনানিবাসের ভেতরে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির আগমন এবং রাজনৈতিক আলোচনা করার আগে ছাড়পত্র নেয়ার বিধান থাকলেও বেশির ভাগ সময় বেগম জিয়া এ ধরনের কোন ছাড়পত্র নেননি। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য ও প্রকাশনা উৎসব, জন্ম-মৃতু্যবার্ষিকীসহ দলীয় নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে মইনুল রোডের বাড়িতে। এই বাড়িতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অবাধে যাতায়াত করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, বিতর্কিত ব্যক্তি, বিদেশী কূটনীতিক, বাংলাদেশ সফরকালে বিদেশী রাজনীতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বেগম জিয়ার বাসায় আসতেন। এ কারণে সংরৰিত এলাকা হিসাবে সেনানিবাসের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে। প্রতিরৰা বাহিনী জাতির ঐক্য এবং সংহতির প্রতীক। সাংবিধানিকভাবে প্রতিরৰা বাহিনীর সদস্যদেও কিছু কিছু মৌলিক অধিকার অন্য নাগরিকের চেয়ে ভিন্ন। প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ বা সমর্থন সেনা আইন পরিপন্থী। এ কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনানিবাস এলাকাকে অনত্মভর্ুক্ত করা হয়নি। বিশ্বের কোন সেনানিবাসেই রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। কেবল বাংলাদেশেই এই সুযোগ ছিল। সেনাবাহিনীর স্বার্থেই সেনানিবাসে রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ হওয়া উচিত। সব দিক বিবেচনা করে ক্যান্টনমেন্ট বোড বাড়িটির লিজ বাতিল করে তাদের দখলে নিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরও জানিয়েছে, মইনুল রোডের বাড়িটি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জিয়াউর রহমান যে বাড়িটি রেখে গিয়েছিলেন তার আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। পুরনো বাড়ির জায়গায় তারেক রহমান গড়ে তুলেছেন প্রাসাদ সুরম্য বাড়ি। ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমান উপ-সেনাপ্রধান হিসাবে এই বাড়িটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হয়েও এই বাড়িতে বসবাস করেছেন। যদি শহীদ জিয়ার স্মৃতি রৰার কথা তাঁর পরিবার ভাবত তাহলে পুরনো কাঠামোতেই বাড়িটি রেখে দিতে পারত। বাড়িটি যখন বরাদ্দ দেয়া হয় তখন অন্যান্য বাড়ির মতো এই বাড়ির আয়তন ছিল ৩০ কাঠা। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাড়িটির আয়তন দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কাঠা। শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুলের জায়গাও দখল করে নেয়া হয়েছে। এই বাড়ির পাশেই বেগম জিয়ার ভাই সাঈদ এস্কান্দর একটি বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়িটির জায়গা দখল করে নেয়া হয়। এভাবেই বাড়িটির জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৮ কাঠা।