প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ১১:০৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৪, ২০১৩, ২:৫৯ পি.এম
ব্যাঙের বিষে মরে সাপ, মরছে কুমির!
![]()

সাপ ব্যাঙ মারে—একথা কে না জানে। ব্যাঙ সাপ মারে—একথা জানালেও বিশ্বাস হবে সবার? এক ধরনের ব্যাঙ নিয়ে খুব দুর্ভাবনায় পড়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাঙগুলো কোনো কোনো সাপের মৃত্যুর কারণ। কুমিরও মরছে এদের কবলে পড়ে! বিশ্ব বিস্ময়ময়। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাঙগুলো বিস্ময় জাগানোরই ছোট্ট এক নমুনা। দেহজুড়ে শক্ত চামড়া, তার ওপর আরও শক্ত শক্ত জরুল। মাথায় থাকে বিষের থলি। ক্ষুধা নিবারণ করতে সাপ এদের যেই না খায়, অমনি বিষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেহে। ব্যাঙ তো মরেই, সাপের পক্ষেও আর বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না। চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্র বলছে, বিষাক্ত এই ব্যাঙগুলোর কারণে নাকি এক ধরনের কুমির বিলুপ্ত হওয়ার পথে। কুমিরগুলো সাধারণ কুমিরের তুলনায় বেশ ছোট। পুরুষ কুমির এক দশমিক সাত মিটার বা সাড়ে পাঁচ ফুট বড় হয়। মেয়ে কুমির আরও ছোট, মাত্র দশমিক সাত মিটার বা দুই ফুট তিন ইঞ্চি। আকারে ছোট বলে এ ধরনের কুমিরকে পিগমি বা স্টান্টেড ক্রোকোডাইল নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা। দুর্লভ প্রজাতির এই কুমিরের সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু জায়গায় খুব দ্রুত কমছে। চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নর্দার্ন টেরিটরির ভিক্টোরিয়া এবং বুলো নদীর কুমির নিয়ে কাজ করে রীতিমত শঙ্কিত। একটি এলাকায় ২০০৭ সালের শুরুর দিকে ছিল ২৮টি পিগমি কুমির। এক বছরের মধ্যেই কমে হয়ে যায় ১০টি। এর বিশেষ কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে লক্ষ্য করেছেন, ওই বিষাক্ত ব্যাঙের ঝাঁক আসার পর থেকেই কুমির কমছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিকল্প খাদ্যের অভাবে কুমিরগুলো ব্যাঙ ধরে ধরে খায়, ব্যাঙের মাথার বিষ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের মৃত্যু ডেকে আনে। ব্যাঙগুলো নাকি পূর্ব-দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে এগোচ্ছে। গতি বেশি নয়, বছরে মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ব্যাঙাতঙ্ক অবশ্য বিদ্যুেবগে অনেক আগেই পৌঁছে গেছে গন্তব্যে! সূত্র : ডিডব্লিউ/আমার দেশ
Copyright © 2025 USA NEWS ONLINE. All rights reserved. Developed by TEKSERV.