প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ১:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০১৩, ২:৩৪ পি.এম
রক্তশূন্যদের জন্য সুখবর বৈকি!
![]()

জাপানের অ্যাস্টেলাস ফার্মা ও ব্রিটেনের গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মধ্যে নতুন যে ওষুধটি বাজারে ছাড়ার জন্য প্রতিযোগিতা চলেছে, সেটি মানুষের শরীরকে বোঝায় যে, সে যেন পাহাড়ে চড়ছে। তার ফলে শরীর আরও বেশি লাল রক্তকণিকা উত্পাদন করে। দুই কোম্পানির ওষুধই এখনও পরীক্ষার পর্যায়ে, যদিও জাপানের অ্যাস্টেলাস সংস্থা ও তাদের সহযোগী ফিব্রোজেন কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। অ্যানিমিয়া, অর্থাত্ রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য এটা ভালো খবর বৈকি। কিন্তু অসত্ অ্যাথলিটরা যদি এই নতুন ওষুধের মাধ্যমে ডোপিং শুরু করে? তাহলেই সমস্যা। নতুন ওষুধটি তৈরি করা হচ্ছে মূলত রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য, যারা বর্তমানে ইপো বা এরিথ্রোপোয়েটিন ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। নতুনত্বের প্রয়োজন পড়ার একটি কারণ এ-ও হতে পারে যে, ইপোর একাধিক পার্শ্বপ্রভাব আছে, যা কার্ডিওভ্যাস্কুলার বা হৃদযন্ত্রের নালিঘটিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন ইপো সেবনে রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। নতুন ওষুধে রক্তচাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। ওদিকে তার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, তা ট্যাবলেটের আকারে বাড়িতেই সেবন করা চলে। নতুন ওষুধটি হাইপক্সিয়া বা নিম্ন অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটির নকল করে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মূত্রাশয়ে আরও বেশি ইপো উত্পাদিত হয়। তৃতীয়ত, খেলাধুলার জগতে ইপো সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির ফলে বিশ্বব্যাপী ইপো ড্রাগগুলোর বাজার ২০০৬ সালে বারো হাজার কোটি ডলার থেকে কমে এখন আট হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। কাজেই এই বাজারে একটি নতুন ওষুধ বিশ্বজয় করতে পারে। মুশকিল এই, অসত্ ক্রীড়াবিদরাও ওই বিশ্বজয় করারই স্বপ্ন দেখেন! তারা যদি স্রেফ ট্যাবলেট খেয়ে রক্তে লালকণিকা বাড়ানোর সুযোগ পান। তাহলে ওষুধের উদ্ভাবকদের অবিলম্বে বিশ্ব ডোপিং প্রতিরোধী সংস্থা ওয়াডার সঙ্গে কথা বলা উচিত। অ্যাস্টেলাস বলছেন, তারা তাদের নতুন ওষুধের যাতে অপব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করবে, তবে তারা এখনও ওয়াডার সঙ্গে কথা বলেননি। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন গতবছরই ওয়াডাকে তাদের নতুন প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে। সূত্র : ডিডব্লিউ/আমার দেশ
Copyright © 2025 USA NEWS ONLINE. All rights reserved. Developed by TEKSERV.