বাপস নিউজ: প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরনর্শিতায় শিক্ষানীতি নিয়ে ঐক্যমত হয়েছে এবং ১৯৭১-৩ শিক্ষক হত্যাকারীদের বিচারে বিশ্ব শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিক সমর্থন ও জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট এর প্রধান সমন�য়কারী, মানব উন্নয়ন উদ্যোক্তার চেয়ারম্যান এবং জাতীয় শিক্ষানীতি প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ ও প্রফেসর কাজী ফারুক আহম্মেদ
গত ২২ আগষ্ট বুধবার বিকাল ৬টায় নিউইয়ার্কের বাঙ্গালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটের টপ অব দি টাউন রেষ্টুরেন্টে প্রবাসীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ উক্তি করেন। তার সম্মানে আয়োজিত এই সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহব্বায়ক মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী। নুরুন্নবী জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহম্মেদ ছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্কের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি মজিব উর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া, আলী ইমাম ও রাজু আহম্মেদ মোবারক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এস এম জাহাঙ্গীর, সাকির মজুমদার প্রমুখ। বাংলাদেশের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও একাত্তরের শিক্ষক হত্যাকারীদের বিচারে বিশ্ব শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিক সমর্থন ও আহব্বান প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন�য়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহম্মেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হয়েও শিক্ষানীতিকে দলীয় বিবেচনার উর্ধে রেখে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দুরদর্শিতার পরিচয় দেওয়ার কারনে এবারের শিক্ষানীতি পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য হয়েছে। এনিয়ে এমন কোন বিতর্ক হয়নি। বিএনপি আমলের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকও সে সময়ের শিক্ষাকমিশন প্রধান ড. মনিরুজ্জামান মিয়া সহ অনেকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে তারা বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে কার্যকরীতা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন। বর্তমান শিক্ষানীতি কমিটি মনে করে শিক্ষানীতি যথাযথ এবং বাস্তবায়নযোগ্য করেই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন। শিক্ষানীতি নিয়ে উপেক্ষনীয় বিতর্ক তুলতে অপপ্রয়াস চালিয়ে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন এবং বিজয়ের প্রাক্কালে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, জিসি দেব, ডাঃ ফজলে রাব্বী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক ড় গিয়াস উদ্দিন সহ বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, শিল্পী সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, কবি, চিকিৎসকদের নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মহলটি মিরপুর, রায়ের বাজার সহ বাংলাদেশের সকল চঞ্চলের বধ্যভূমিগুলো তাদের যে অপরাধের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য আজও বহন করে চলেছে। প্রসঙ্গক্রমে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহম্মেদ একাত্তরে শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবি হত্যাকারীদের বিচারে নৈতিক সমর্থন দানের জন্য বিশ্ব শিক্ষক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের ৩০ হাজার স্কুল কলেজ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষকদের ১১টি সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কর্মচারী ফ্রন্টের প্রতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদাদের লক্ষ্যে তাদের বিচার কাজে নৈতিক সমর্থন চেয়ে আবেদন পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহম্মেদ বাংলাদেশের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে তত্ব অপেক্ষা ব্যবহারিক দিককে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এর কয়েকটি বৈশিষ্ট তুলে ধরেন। প্রাথমিক স্তরের সকল ধারার প্রতিষ্ঠান যেমন সরকারী, বেসরকারী, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যম কিন্ডারগার্টেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা অভিন্ন পাঠ্যসূচী অনুযায়ী নির্বাচিত বিষয় সমূহ বাংলা, ইংরেজী নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশ ষ্ট্যাডিজ, গণিত, সামাজিক পরিবেশ ও জলবায়ূ পরিবর্তনের ধারা সহ প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিচিতি এবং তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বাধ্যতা মূলক ভাবে রাখা হবে। শিক্ষা সংক্রান্ত সকল আইন, বিধি বিধান ও আদেশাবলী একত্রিত করে নতুন শিক্ষানীতির আলোকে এবং যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সমনি�ত শিক্ষা আইন প্রবর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে একই �হায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে, যে কমিশন শিক্ষানীতির সময়োপযোগী পরিবর্তন ও প্রয়োজনে পরিবর্তনের সুপারিশ করতে পারবে। শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য পৃথক কমিশন গঠণ করা হবে এবং তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষন দানের মাধ্যমে শিক্ষায় মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের যথোপযুক্ত আর্থ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেমিনার ও মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সকলকে ইফতারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়। আন্তর্জাতিক জনমত তৈরীতে অধক্ষ্য কাজী ফারুক আহম্মেদ গত ২৩ আগষ্ট সোমবার জাতিসংঘের মহা সচিব ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বরাবরে তাদের প্রধান দপ্তরে এ ব্যাপারে একটি স্বারক লিপি প্রদান করেন। এসময় তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর আরব ইরায়েলী রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান ড় সুধাংশু ভূষন কর্মকার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ও বঙ্গবন্ধু প্রচার কেন্দ্র সমাজ কল্যান পরিষদের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী। অধ্য কাজী ফারুক আহমেদ ২৪ আগষ্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক এবং ইউনাইটেড ফেডারেশন অব রিচার্স নেতৃবৃন্দের সাথেও মতবিনিময় করে একটি স্বারক লিপি প্রদান করেছেন।