বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচার শুরু ১৩ই আগস্ট

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হচ্ছে। আগামী ১৩ই আগস্ট এ বিচার কাজ শুরু হবে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকসহ বিভিন্ন সময়ে আনুষ্ঠানিক ও মৌখিকভাবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে বিজিবি। ফলে বিএসএফ সদর দপ্তর ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোট’ গঠন করে। পরে গত মার্চে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিএসএফ মহাপরিচালকের কাছে ফেলানী হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। বিএসএফ মহাপরিচালক দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালককে আশ্বাস দেন। পরে বিএসএফ-এর আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ২ জন সাক্ষী, একজন আইনজীবী এবং বিজিবি’র একজন প্রতিনিধিকে ভারতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিজিবি’র ৪৫ বর্ডার গার্ডের (কুড়িগ্রাম) অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, আইনজীবী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, নিহত ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম, নিহত ফেলানীর মামা মো. আবদুল হানিফ প্রমুখ ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন। তারা আগামী ১৯শে আগস্ট ভারতের ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নে যাবেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে তাদের পাসপোর্ট, ভিসা ও যাতায়াতের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী নিহত হয়। বিয়ের জন্য সে ভারত থেকে দালালের মাধ্যমে দেশে আসার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। গুলিতে মারা যাওয়ার পর তার লাশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে থাকে। এ হত্যাকাণ্ডের পর সারা পৃথিবীব্যাপী বিএসএফ সমালোচিত হয়। সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।মানবজমিন