বিশ্বে এক বছরে খাদ্যের দাম কমেছে ৭ শতাংশ : এফএওর প্রতিবেদন

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে, গত এক বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ৭ শতাংশ। আর এক মাসে দাম কমার হার ১ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন মাস ধরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমল। খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক নিয়ে বৃহস্পতিবার দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনে এফএও বলেছে, চিনি, দুগ্ধজাত পণ্য ও ভোজ্যতেলের বড় ধরনের দরপতনের কারণেই খাদ্য মূল্যসূচক অনেক কমে এসেছে। ২০১২ সালের গড় খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ২১২ পয়েন্টে। আর ডিসেম্বরের সূচক ২০৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট। গত বছরের জুনের পর এটিই সর্বনিম্ন। সে মাসে মূল্যসূচক ছিল ২০০ পয়েন্টে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলছে, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সালে চিনির দাম কমেছে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ আর মাংসের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ। চিনি রপ্তানিকারী দেশগুলোতে এবার চিনির উৎপাদন বেশ ভালো। বৃহৎ চিনি রপ্তানিকারক ব্রাজিলের রপ্তানি সক্ষমতাও আগের বছরের চেয়ে এবার বেশি। সে কারণে চিনির দাম বাড়তে পারেনি। এফএও বলছে, উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা এবং সরবরাহে অতিরিক্ত চাপ থাকায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের দাম কিছুটা বাড়ছিল। কিন্তু খাওয়ার এবং শিল্প খাতে ব্যবহারের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় খাদ্যশস্যের রপ্তানিমূল্য কমে যায়। এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভালো উৎপাদন হওয়ায় ডিসেম্বরে চাল ও ভুট্টার দাম কিছুটা কমে এসেছে। সে অনুযায়ী গমের দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত থেকে গেছে। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে গত মাসে গমের দাম ৯ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটিই গমের দাম কমার বড় ঘটনা। সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২ শতাংশ। রেকর্ড পরিমাণ মজুদের কারণে গত বছর মালয়েশিয়ায় পাম তেলের দাম ২৩ শতাংশ কমে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার পর বর্তমানে মালয়েশিয়াই বিশ্বব্যাপী বেশি পাম তেল রপ্তানি করে। সূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ ও কমোডিটি অনলাইন।প্রথম আলো