Friday - March 14, 2025 11:44 PM

Recent News

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কেরি : ইসরাইল-ফিলিস্তিনের অবিশ্বাস দূর করার চেষ্টা করছি

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিক্ত সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের অবিশ্বাস দূর করার চেষ্টা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। একই সঙ্গে এ অবিশ্বাস যেন নতুন শান্তি প্রক্রিয়া পর্যন্ত গড়াতে না পারে সেজন্যও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সোমবার ইসরাইলে এক আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রোববার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করেন। এ সময় তিনি রামাল্লাহ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরের দিন সোমবার কেরি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। অবিশ্বাস বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে জন কেরি বলেন, ‘আমি এই ইস্যুটিতে নিবিড়ভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে চেষ্টা করা সত্যিকার অর্থে আমেরিকার এবং আঞ্চলিক স্বার্থের কাছে মূল বিষয়। কারণ, সব জায়গায় চরমপন্থাকে উত্সাহিত করতে এবং এর জন্য সদস্য সংগ্রহ করতে শান্তির এই তিক্ত অনুপস্থিতিকে কিছু গ্রুপের পক্ষ থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তবে কেরি তার আলোচনা সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা কেরির আলোচনা সম্পর্কে বলেন, মূলত কেরি তার আলোচনায় ২০০২ সালের আরব লীগের প্রস্তাবের বিষয়টিতে পুনরায় নজর দিলেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরাইল যদি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয় তবে পুরো আরব বিশ্বই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে। প্রস্তাবে আরব লীগ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য একটি ‘ন্যায়সঙ্গত সমাধান’ এর প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তা আব্বাস আইদি নিমর হাম্মাদ বলেন, ‘আরব লীগের তরফ থেকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেই উদ্যোগ নিয়েই নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।’ ২০০২ সালে আরব লীগের ওই সম্মেলনে ফিলিস্তিন বিষয়ে উত্থাপিত এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইল। তবে ওই প্রস্তাব বা পরিকল্পনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ইসরাইল ১৯৬৭ সালে দখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার প্রস্তাবসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো নিয়ে আপত্তি তোলে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল কর্তৃক দখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার প্রস্তাবের মধ্যে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমও অন্তর্ভুক্ত ছিল। একই সঙ্গে যারা এখনও ইসরাইলে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টিও প্রস্তাবিত ছিল। কেরি জানান, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে পরস্পরে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে সেটা দূর করতে তিনি কাজ করছেন। সীমান্ত, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ভাগ্য এবং জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের ফলে একটি অনাস্থা তৈরি হয়েছে বলে কেরি জানান। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের আগেকার হস্তক্ষেপগুলোর একটি কারণ হলো, অনাস্থার ইস্যুতে একটি অধিকার পেয়ে যাওয়া।’ তিনি বলেন, ‘আমি বুঝেছি যে, আমরা এটা ভেঙে দিতে পারব। তবে আমি এটা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের মধ্যেই করতে পারব না।’ কেরি জানান, পরস্পরের সংশয় শিথিল করে আনতে তিনি কতগুলো পন্থার কথাও ভাবছেন। একটি হলো এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সমৃদ্ধ করা। তিনি মনে করেন, এর ফলে কিছুটা হলেও শান্তির আবহ তৈরি করবে।রয়টার্স/আমার দেশ
0Shares

COMMENTS