Monday - December 23, 2024 5:50 AM

Recent News

যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে ‘‘সংখ্যালঘু” স্বীকৃতি, সেপারেট ইলেক্টরেট ও সংখ্যালঘু এনক্লেভের দাবি (ভিডিও সহ)

ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে ‘‘সংখ্যালঘু” স্বীকৃতি, সেপারেট ইলেক্টরেট, ও সংখ্যালঘু এনক্লেভের দাবি জানানো হয়েছে।
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০টা পর্যন্ত নিউইয়র্কস্থ ইউনাইটেড ন্যাশনস সংলগ্ন ডাগ হ্যামারস্কোল্ড প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে দেশে চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ ছাড়াও সেখানে ইউন্টেড হিন্দুজ অফ ইউ.এস.এ., সনাতনী গীতা সোসাইটি সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংগঠন নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে যোগ দেয়। বিপুল সংখ্যক লোক এবং দেশি বিদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থিতিতে চার ঘন্টারও বেশি স্থায়ী এ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নবেন্দু দত্তের স্বাগতিক বক্তব্যের পর মুক্ত অলোচনা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য ও যুগ্ম সম্পাদক বিষ্ণু গোপ।
জন্মভূমিতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বিপন্ন আত্মীয় স্বজনের করুণ অবস্থা, সংবিধান সংস্কার কার্যক্রমে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের অবস্থান কী হতে যাচ্ছে, সামপ্রদায়িক সন্ত্রাস এবং সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচারের ব্যাপারে ড. ইউনুস সরকারের অবস্থান প্রভৃতি বিষয়ে উদ্বিগ্ন ঐক্য পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, শিতাংশু গুহ, ডা. প্রভাত দাস, ভজন সরকার, রামদাস ঘরামী, রণবীর বড়ুয়া, রূপকুমার ভৌমিক, প্রদীপ মালাকার, শ্যামল চক্রবর্তী, ভবতোষ দত্ত, ড. দিলীপ নাথ, সুশীল সাহা, বিদ্যুৎ সরকার, অজিত চন্দ, আশীস ভৌমিক, সুশীল সিনহা, পার্থ তালুকদার, রমেশ নাথ, সুকান্ত দাস টুটুল, পরেশ ধর, স্বপন চক্রবর্তী, প্রদীপ কুণ্ডু, পঙ্কজ মেহেতা, সুভাষ মজুমদার, সত্য দোসাপতি প্রমুখ।
একাধিক বক্তা অভিনন্দন মিশ্র লিখিত সানডে গার্ডিয়ান পত্রিকার ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সংখ্যার একটি নিবন্ধের সূত্র উল্লেখ করে বলেন যে, সরকার ছাত্রদের কোটা বিলোপের দাবি মেনে নেওয়ার পর গত ৫ই আগষ্টের সরকার উৎখাতের ঘটনা একাধিক বিদেশী শক্তির পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায়, দেশের ইসলামী জাতীয়তাবাদী, মৌলবাদী, ও উগ্রপন্থীদের প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহনে সংঘটিত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, যার মূল কারণ কোটা ব্যবস্থা নয়।
গণঅভ্যুত্থানে অংশ গ্রহনকারী নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে, বক্তারা বলেন যে, যদিও অভ্যুত্থানের ছাত্র সমন্বয়ক এবং মুল দেশি-বিদেশি পরিকল্পনাকারীদের নিযোজিত চীফ এ্যডভাইজার ড. ইউনুস সাহেব এবং ওনার সহযোগী এ্যাডভাইজাররা দাবি করে চলেছেন যে তাঁরা ‘‘বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায় বা সমতা-ভিত্তিক সমাজ’’ গড়ার লক্ষ্যে ‘‘অন্তর্ভুক্তিমূলক” রাজনৈতিক পরিবেশ গাড়তে কাজ করছেন, তাঁদের আচরণে উক্ত প্রতিশ্রুতির মোটেও কোন প্রতিফলন নেই; তাঁরা, দৃশ্যত: ইসলামী জাতীয়তাবাদী, মৌলবাদী, আই. এস.-বাংলা ও আল কায়দার বাংলাদেশী শাখার জঙ্গী নেতাদের সহ ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের দলে দলে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছেন, যারা ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঘাতক ও তাদের উত্তসুরি জঙ্গীদের সমাজ ও রাজনীতিতে সগৌরবে প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশেকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মত একটি ভয়ঙ্কর ইসলামী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রাম,” ‘‘দ্বীপ্ত শপথ” ভাস্কর্য্য সহ স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবকিছু নিশ্চিহ্ণ করে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাসটাই মুছে ফেলে দিচ্ছে। বক্তারা বলেন, ছাত্র সমন্বয়কদের তাত্বিক সমর্থনে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী-মৌলবাদী ও উগ্রপন্থীরা ভাষা-ভিত্তিক বাঙালী জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে নতুন “মুসলিম বেঙ্গলি” জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে, এবং সংবিধানে “জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত” করার নামে দেশেকে কার্যত্: একটি ইসলামিক স্টেইটে পরিণত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশ্রয়ে ঐ গোষ্ঠী সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক বাংলাদেশেকে সংখ্যালঘু বা অমুসলমান শূন্য করার জন্য গত ৫ই আগষ্ট থেকে ১৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের ওপর ২,২১০টির অধিক আক্রমণ করে তাঁদের বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, উচ্ছেদ, বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ, শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে, আর খন করেছে ৯ জনকে। এ’ ছাড়া, তারা হিন্দুদের জামাতে ইসলামের সদস্য হতে বাধ্য করছে, ধর্মান্তরিত হতে চাপ দিচ্ছে, অন্যথায় দেশে ছেড়ে যেতে হবে বলে হুমকী দিচ্ছে, অনেক সংখ্যালঘু শিক্ষককে অপমান করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, পুজোয় আযানের সময় শঙ্খ ঘন্ঠা না বাজানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে, উৎসব মন্ডলকে পুলিশ ও মিলিটারির উপস্থিতিতে লিঞ্চিং করার চেষ্টা করেছে, প্রতীমা ভাঙচুর করছে, অনেক জায়গায় দুর্গাপুজা করার অনুমতির জন্য লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে।
এ’সব সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনার উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, “মনে হয় আমরা এখন ঠিক পাকিস্তানী আমলে বাস করছি”। কয়েকজন বক্তা বলেন ১৯৩০-১৯৪০ সালে ভারতের মুসলমানদের ওপর হিন্দুরা এ’ ধরণের সামপ্রদায়িক সন্ত্রাস করত বলে ইতিহাস বলে না, তবুও মুসলমানরা ভারত ভাগ করে তাঁদের জন্য অলাদা একটি দেশ –পাকিস্তান –করে নিলেন! যদি সেটা সঠিক কাজ হয়ে থাকে, তা’হলে যুগ যুগ ধরে অব্যাহত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য অবিলম্বে পূর্ব তিমূরের মত একটি আলাদা আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্তর্জাতিক কেম্পেইন শুরু করা উচিৎ; তাঁদের কেউ কেউ বলেন, এর বিকল্প হচ্ছে: জাতিসংঘের তত্বাবধানে ভারত-বাংলাদেশে-পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিদেশীয় জনবিনিময় করা, যে কাজটা ১৯৪৭ সালের ১৪-১৫ আগষ্টেই করা উচিৎ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদেরে পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয় যে, যেহেতু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই শুধু নয়, শেখ হাসিনা সরকার সহ অতীতের সকল সরকারই দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে, এমনকি প্রতিটি সরকারই তাঁদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেমন ‘‘শত্রু সম্পত্তি” আইন ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের ২.৮ মিলিয়ন একর জমি কেড়ে নিয়েছে, এবং নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে অঙ্গীকার করেও তাঁদের জন্য একটি “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন” পর্য়ন্ত পাশ করেনি, দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতকের বিচার করেনি, তাই আপাতত: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংখ্যালঘুদের (১) সাংবিধানিকভাবে “বিপন্ন সংখ্যলঘু” বলে স্বীকৃতি দিয়ে (২) যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আগের সময়কার মত সেপারেট ইলেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করে,(৩) দেশের সংখ্যালঘু ঘন-বসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি সংখ্যালঘু এনক্লেভ করে দিক, ঠিক যা করে আমেরিকা বা ভারতে অদিবাসীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, চীফ এ্যাডভাইজার ড. ইউনুসের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, উনি তো জাতিসংঘের বিশ্ব সভায় “ন্যায় বা সমতা”, ‘‘বৈষম্যহীন সমাজ” ‘‘ন্যায় বিচার,” ‘‘আইনের শাসন” প্রতিষ্ঠা করবেন বলে বলে গেলেন কিন্ত দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতকদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে তাঁর এত অনীহা কেন! ওনাকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা বলেন, তিনি যদি ইসলামী মৌলবাদী ও জঙ্গীদের আজ্ঞাবহ ক্রীড়ানক না হন, তবে তিনি অবিলম্বে সংখ্যালঘু নির্যাতকদের গ্রেফতার করে বিচাররে নির্দেশ দিন, এবং সেটা শুধু গত ৫ই আগষ্ট থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নয, তিনি অন্তত: ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বে জজ্ সাহাবুদ্দীন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত কয়েক হাজার সংখ্যালঘু নির্যাতকের যে তালিকা রয়েছে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে দেখান যে তিনি এবং ছাত্র ছাত্র সমন্বয়করা আসলেই ‘‘ন্যায় বিচার” ও ‘‘সমতায়” বিশ্বাসী।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, চীফ এডভাইজার ড. ইউনুস সাহেব এবং ওনার “ছাত্র সমন্বযক” এ্যাডভাইজারগণ বলছেন যে, ৫ই আগষ্ট ক্ষমতাচ্যুত ‘‘ফ্যাসিস্ট” বা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে কয়েক যুগ লেগেছিল, চার দশক আগের সংখ্যালঘু নির্যাতকদের এখনও বিচার হয়নি,২০১১ সালে সংঘটিত রামুতে বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের ওপর অক্রমণকারী ২৫,০০০ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীর বিচার আজও হয়নি, আর কবে হবে সেটাও কেউ জানে না। তাই, যদিও অত্যাচারীদের বিচারের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়, প্রথমত: বিচারের সময়টা ২০০৯ থেকে নয় ১৯৭২ সাল থেকে করা “ন্যায়” সঙ্গত হবে, এবং সকল দলের অপরাধীদেরই বিচার করতে হবে। যেহেতু সকল দলই স্বৈরাচার, দুর্নীতি, অপহরণপূর্বক গুম করা, খুন, গণহত্যা, ও কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অপরাধে সমানভাবে দোষী, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বি. এন. পি. বা জামাতে-ইসলামী কাউকেই কি অনতর্বর্তীকালীন সরকার “বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত” নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দেবেন না!
বক্তারা বলেন, ভুলে গেলে চলবে না যে, যেসকল অভিযোগে আওয়ামী লীগ অভিযুক্ত তার প্রতিটি অপরাধে অপরাধী, জামাতে-ইসলামী, জাতীয় পার্টি, এবং বি. এন. পি। জামাত ১৯৭১ সালে লুটপাট, ধর্ষন, গণহত্যা করেছে, বি. এন. পি. আমলে হাওয়া ভবন থেকে লুটপাট, খুন, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রান নাশের চেষ্টা সবই হয়েছিল, বেগম জিয়া সেনাবাহিনী পাঠিযে পার্বত্য চট্টগ্রামের লোগাঙে ৭০০-এর অধিক আদিবাসীকে গণহত্যা করেছিলেন, যার প্রতিবাদে ১৯৯২ সালের ১৩ই নভেম্বর ১৭ জন ইউ. এস কংগ্রেসম্যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে কড়া ভাষায চিঠি লিখেছিলেন। বক্তারা অোরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী, খুন ধর্ষণ ও গণহত্যার অপরাধে অপরাধী জামাতে-ইসলামী, যারা জাতীয় সঙ্গীত এবং দেশের সংবিধানই মানেনা, তারা রাজনীতি করতে পারবে, আহসান হসানউল্লাহ মাস্টার বা কিবরিয়ার মত বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দ হত্যা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গণহত্যা, ও লুটপাটের অপরাধে অপরাধী বি. এন. পি. নির্বাচন করতে পারেবে, কিন্ত অওয়ামী লীগ পারবে না সে কেমন কথা – যে সব দল একুশ, অর্থাৎ ভাষা-ভিত্তিক জাতীয়তা, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম নিরপেক্ষ বা সেকুলার গণতন্ত্র, জাতীয় সঙ্গীত এবং সংবিধান মেনে রাজনীতি করতে রাজি সগেুলোর সবকটাকেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দিতে হবে। এর ব্যত্যয নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুসের নামকে কলঙ্কিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্র এক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন যে, দেশ এখন কার্যত: ধর্মীয় মৌলবাদী ও জঙ্গীদের অনুজ্ঞায় চলছে সেটা খুবই স্পষ্ট। তাঁরা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন যে, ভাষা-ভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে, ‘‘মুসুলিম বাঙালী” জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির যে অপচেষ্টা চলছে তা’ বাস্তবায়িত হলে, বাংলাদেশ অচিরেই নব্বইয়ের দশক বা ২০০১-২০০৫ সালের মত ভয়াবহ অবস্থায় ফিরে যাবে, এবং বছর দৃয়েকের মধ্যে আফগানিস্তানের মত একটি ধর্মীয় জঙ্গী দেশে পরিণত হবে। নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুসের মত বিশ্বনন্দীত ব্যক্তির পৌরহিত্যে বাংলাদেশের এই অধ:পতন না ঘটাই কাম্য এবং শ্রেয়।

0Shares