ডেস্ক: প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে সোমবার ভোরে চলে যান সেন্ট মেরিস হাসপাতালে। সেখানেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। চার ঘণ্টারও বেশি সময় তারা এ খবর গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপরই তা মিডিয়াকে জানানো হয়। অমনি সারা যুক্তরাজ্য যেন আনন্দে ফেটে পড়ে। নির্ঘুম রাত কাটায় বৃটিশরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। এতে বলা হয়েছে, কোন মিডিয়া যাতে টের না পায় সে জন্য প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় চলে যান ওই হাসপাতালে। এরপর নানা প্রস্তুতি শেষে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটে জন্ম নেয় যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে জন্ম নেয়া ভবিষ্যতের এক রাজা। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় মিডিয়ার সামনে সে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এর ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই কেট মিডলটন ও প্রিন্স উইলিয়ামের হাসপাতালে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করতে এবং সে সম্পর্কিত খবর সবার আগে প্রচার করতে মুখিয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। কে কার আগে ওই দম্পতির একটি ছবি প্রকাশ করতে পারবেন সে জন্য তাদের প্রতিযোগিতার যেন শেষ ছিল না। তারা হাসপাতালের সামনে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্প করে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তাদের বোকা বানিয়েছেন উইলিয়াম-কেট। তারা বুঝতেও দেননি যে তারা হাসপাতালে চলে গেছেন। কিন্তু একজনের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি তারা। তিনি হলেন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার জেসাল পারশোটাম। তিনি কিভাবে যেন এ খবর পেয়ে যান। আর ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সে খবর প্রথম টুইটারে ছেড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় হুলস্থুল। সাংবাদিকদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তারা একবার বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ, একবার হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। অবশেষে ওই দিনই সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে রাজপ্রাসাদ নিশ্চিত করে। বলে, কেটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সেখানে লেবার রুমে রয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী কেট মিডলটন হাসপাতালে যাওয়ার আগের এক সপ্তাহ কাটান তার পিতা-মাতার সঙ্গে বাকলবারিতে। লেবার রুমে থাকার সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম।মানবজমিন