মঙ্গল গ্রহে যেতে ১০০০ আবেদন!

ডেস্ক : মানুষের পায়ের চিহ্ন যেখানে কখনও পড়েনি, সেখানে সাহস করে যে কারও যাওয়াটা চ্যালেঞ্জ বটে। তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হবে, যদি বলা হয়, এ সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে হবে সেই অচিনপুরে। এসব শর্ত শুনেও অচিনপুরে যাওয়ার লোকের অভাব হয়নি। ঘোষণার আগেই আবেদন পড়েছে সহস্রাধিক। এই অচিনপুরের নাম মঙ্গল গ্রহ। একটি ডাচ সংস্থা পরিকল্পনা নিয়েছে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর। উদ্দেশ্য সেখানে মানববসতি স্থাপন। গড়ে তোলা আরেকটি ভূস্বর্গ। সংস্থাটি ‘মার্স ওয়ান’ নামের ওই মিশনে ২০২৩ সালে চারজন মানুষ পাঠাবে। পরবর্তী ১০ বছরে পাঠাবে মোট ২০ জন। তবে কাদের পাঠানো হবে সে বিষয়টি সহজ করে দিয়েছে সংস্থাটি। কোনো সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা জীবন কাটিয়ে দিয়েছে বিমানে_ এমন লোকের দরকার নেই। দরকার নেই নামকরা কোনো মেডিকেল ডিগ্রিধারীর বা ভূতাত্তি্বকের। মঙ্গলে যাওয়ার জন্য দরকার কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী কোনো টগবগে যুবকের। তাকে হতে হবে প্রাণবন্ত, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, কৌতূহলী, সৃষ্টিশীল আর সম্পদশালী। মঙ্গলে পাঠানোর আগে নির্বাচিত ব্যক্তিকে আট বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থাকাটা তার জন্য হবে বাড়তি যোগ্যতা। মার্স ওয়ান মিশনের মেডিকেল ডিরেক্টর সাবেক নাসা গবেষক নরবার্ট ক্রাফট বলেন, এক সময় ছিল মহাকাশে ওড়ার জন্য যোগ্যতা ধরা হতো, কত বছর সুপারসনিক জেট বিমানে চড়েছেন বা সাহস কতটা। সেই দিন আর নেই। এখন আমরা যোগ্যতা ধরব, আপনি কতটা ভালোভাবে সঙ্গীর সঙ্গে কাজ করছেন, বসবাস করছেন। লোক বাছাই করতে আবেদনকারীদের নিয়ে একটি টেলিভিশন রিয়েলিটি শো করার চিন্তা রয়েছে আয়োজকদের। এতে যেমন ধাপে ধাপে দর্শকদের ভোটে যোগ্যরা নির্বাচিত হবেন, পাশাপাশি তহবিলও সংগ্রহ হবে। নির্বাচিতদের মঙ্গলে যেতে ৪ কোটি মাইল পথ পেরুতে হবে। ভ্রমণে লাগবে মোটামুটি ২০০ দিন। বসতি স্থাপনকারীদের মঙ্গলের মাটিতে ভূস্বর্গ গড়ে তুলতে হবে ৯৫ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড আর ৩৫ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করেই। সূত্র :ডেইলি মেইল।সমকাল