দাঁতে নখ কাটা মানসিক সমস্যা

ডা. আহমেদ হেলাল : দাঁতে নখ কাটা শিশুদের একটি বাজে অভ্যাস। তা অস্বাস্থ্যকরও। এ থেকে রোগ-জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। বড়দের অনেকেই কম যায় না। এ অভ্যাসকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘অনাইকোফ্যাজিয়া’। উদ্বেগজনিত সমস্যা (সাধারণ অ্যাংজাইটি, ওসিডি) থাকলেই অনেকে দাঁতে নখ কেটে উৎকণ্ঠা দূর করার চেষ্টা করে। এ অভ্যাস কমিয়ে আনতে কিছু পরামর্শ— শুরুতেই সমস্যাটি নজরে এনে তা কমিয়ে আনার বিষয়ে সক্রিয় হতে হবে মা-বাবাকে। কোন সময়, কোন পরিস্থিতিতে সে নখ কাটে, তা চিহ্নিত করতে হবে। বয়স যদি পাঁচের ওপরে হয়ে থাকে, তবে তাকে এ অভ্যাস দূর করার জন্য ভালোভাবে বোঝাতে হবে। বকাবকি করা, আঘাত করা চলবে না। নখগুলোকে সব সময় সুন্দর করে কেটে রাখতে হবে। ভাঙা নখ বয়ে বেড়ানো চলবে না। কিছু অবিষাক্ত তেতো স্বাদের তরল আছে, যা নখে লাগিয়ে রাখা যায়। চিরতার রস বা নিমের রসও লাগানো যায়। প্লাস্টিকের নকল নখ লাগিয়ে রাখা যায়। পাতলা সুতির বা রাবারের হ্যান্ড গ্লাভসও ব্যবহার করা যায়। মন অন্যদিকে সরিয়ে রাখতে হবে। কবজিতে সাধারণ রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে রাখা হয়—যখনই নখ কাটার প্রবণতা শুরু হবে, তখন শিশুটি নিজেই রাবার ব্যান্ড ধরে টেনে টেনে হাতে আলতো আঘাত করবে। শিশুটি কোনো মানসিক চাপে আছে কি না খেয়াল করুন এবং তা দূর করার চেষ্টা করুন। গুরুতর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে উদ্বেগবিরোধী ওষুধ সেবন ও সাইকোথেরাপি গ্রহণ করতে হয়।প্রথম আলো