আর্জেন্টিনার জয় ব্রাজিলের হার

ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪-এর বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে নিজেদের ভালো করে ঝালিয়ে নিলেন লিওনেল মেসিরা। আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-২ গোলে হারিয়েছে সুইডেনকে। আর্জেন্টিনার জয়ের দিনে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে হতাশায় পুড়ছে ব্রাজিল। সুইডেনের ঘরের মাঠে খেলার শুরু থেকেই চমত্কার ফুটবল পসরা সাজায় দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৩ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন সুইডিশ ডিফেন্ডার মিকায়েল লুস্তিগ। ১৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন জোনাস ওলসন। কিন্তু চার মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো ও গঞ্জালো হিগুয়েন। খেলা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে সুইডেনের রাসমুস এলম একটি গোল করে ব্যবধান কমান। পুরো ৯০ মিনিট খেললেও লিওনেল মেসি গোলের দেখা পাননি। তবে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন এই ক্ষুদে ফুটবল জাদুকর বলেছেন, গোল না পেলেও দলের জয়ে অনেক খুশি তিনি। মেসি বলেন, ‘গোলের চেয়ে দলের জয়টা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরো বলেন, ‘ভালো একটি ম্যাচ খেলতে পেরে আমরা খুশি। বছরের সূচনাটা দারুণ হয়েছে আমাদের। শুরুতে গোল করে আমরা ম্যাচে এগিয়ে ছিলাম।’ এদিকে, ওয়েম্বলিতে ম্যাচের আগে ইংল্যান্ডকে তেমন পাত্তাই দেননি ব্রাজিলের সেনসেশন ফুটবলার নেইমার। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন সান্তোসের এই স্ট্রাইকার। এও বলেন, ওয়েন রুনি ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কিছু নেই। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে নেইমারকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়েন রুনি ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলে ওই ইংল্যান্ডের কাছেই ২-১ গোলে হেরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্ট ব্রাজিলের বিপক্ষে দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো ইংলিশদের। এর আগে ১৯৯০ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য ইংল্যান্ডের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন গোলকিপার জো হার্টও। খেলার শুরুর দিকে রোনালদিনহোর নেয়া পেনাল্টি শট অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ব্যর্থ করে দেন ইংলিশ এই তরুণ গোলকিপার। ২৬ মিনিটে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ওয়েন রুনি। উইলশিয়ার ও ওয়ালকটের যৌথ আক্রমণ প্রায় ব্যর্থ করেই দিয়েছিলেন ব্রাজিল গোলকিপার জুলিও সিজার। ব্রাজিলের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে ওয়ালটকের নেয়া শটে বাধা দেন তিনি। কিন্তু দৌড়ে এসে ফিরতি বল পেয়ে চমত্কারভাবে তা ব্রাজিলের জালে জড়িয়ে দেন রুনি। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ফ্রেড ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান। ৪৮ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন তিনি। ৬০ মিনিটেই ল্যাম্পার্ড ইংল্যান্ডের জয়সূচক গোলটি করেন। রুনির পাস থেকে দুর্দান্ত শটে ব্রাজিলের জালে বল পাঠান ল্যাম্পার্ড। ম্যাচ শেষে ল্যাম্পার্ড বলেন, ‘ব্রাজিলের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট দারুণ খেলেছি আমরা। ম্যাচে ব্রাজিল তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তবে তারা অনেক সুযোগ পেয়েছিল। আমরাও কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা আরও গোল করতে পারতাম।’ গত নভেম্বরে মানো মেনেজেসের কাছ থেকে কোচের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ব্রাজিলের বর্তমান কোচ ফিলিপ স্কলারি। কিন্তু প্রথম অ্যাসাইমেন্টেই হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো স্কলারিকে। তিনি বলেন, ‘হতাশার কিছু নেই। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছি আমরা। তাদের দলে ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। শারীরিকভাবে তারা দারুণ ফর্মে আছে।’আমার দেশ