Saturday - March 15, 2025 3:56 PM

Recent News

চালু হলো সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ

 ডেস্ক : চিলিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে কাজ শুরু হয়েছে। চিলির উত্তরাঞ্চলে আতাকামা মরুভূমিতে সমুদ্র সমতল থেকে ১৬ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রটি আংশিকভাবে চালু হয়েছে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে মহাকাশে স্থাপিত হাবল টেলিস্কোপের চেয়েও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আতাকামা লার্জ মিলিমিটার-সাবমিলিমিটার অ্যারে’ বা আলমা। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ ‘প্রাণ’। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি সংস্থার সম্মিলিত চেষ্টায় এ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আলমা স্থাপনের জন্য বিজ্ঞানীরা বেশ উঁচু, কম আর্দ্র, রোদ্রোজ্জ্বল এবং সহজে সরঞ্জাম নেওয়া যাবে এমন একটি জায়গা খুঁজছিলেন। বলিভিয়া সীমান্তে চিলির পর্যটন নগরী সান পেদ্রো দে আতাকামার কাছে অবশেষে তাঁরা পছন্দসই জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। আলমায় ৬৬টি অ্যান্টেনা বসানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি অ্যান্টেনার কাজ শেষ হয়েছে। সব অ্যান্টেনা মিলে একটি টেলিস্কোপ হিসেবে কাজ করবে। প্রায় ১৬ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে এগুলো বসানো হচ্ছে। প্রতিটি অ্যান্টেনার ব্যাস হবে ৯ থেকে ১২ মিটারের মধ্যে। মহাকাশ থেকে আসা ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র বেতার তরঙ্গও এই অ্যান্টেনাগুলোতে ধরা পড়বে। প্রতিটি অ্যান্টেনার নিচে ২৮টি করে চাকা লাগানো থাকবে। একেকটি অ্যান্টেনার ওজন হবে ১৩০ টনের মতো। প্রয়োজনে বিজ্ঞানীরা এগুলোকে কাছে বা দূরে নিতে পারবেন। সবচেয়ে উঁচু অ্যান্টেনাটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৬ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় লাগানো হয়েছে। পুরো কাজ শেষ করতে প্রায় ১৩০ কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানান, আলমা অতি অস্পষ্ট মহাজাগতিক রশ্মিও শনাক্ত করতে পারবে। এর মাধ্যমে মহাকাশের অন্ধকার ধুলার মেঘ বা দূরবর্তী ছায়াপথও পর্যবেক্ষণ করা যাবে। কিভাবে একটি তারা বা গ্রহের জন্ম হয়, কিভাবে সেগুলো মারা যায়, কিভাবে প্রাণের বিকাশ হয়_সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাওয়া যাবে। এমনকি পৃথিবীর জন্মের ব্যাপারেও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে। সূত্র : এএফপি।কালের কণ্ঠ

0Shares

COMMENTS