অভিবাসন নীতি আরো কঠোর করছে ব্রিটেন

ডেস্ক : অভিবাসন নীতিমালা আরো একধাপ কঠিন করছে ব্রিটেন। বেকারভাতাসহ অভিবাসীদের আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুবিধার আওতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। ইউরোপীয় অভিবাসীরাও এ নীতিমালার আওতায় পড়বে। সোমবার অভিবাসন নীতি কঠোর করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। গতকালই তিনি ব্রিটেনের ডেইলি সান পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক এলাকা (ইইএ) সুবিধার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের নাগরিকরা সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসী হতে পারে। তারা ওই দেশের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করে। ব্রিটেনের বিদ্যমান অভিবাসন আইন অনুযায়ী ইউরোপীয় অভিবাসীরা কত দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবে, তার কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করা নেই। আগামী বছরের শুরুতে ইইউয়ের সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার ওপর থেকে ইইএ সংক্রান্ত কিছু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই এ দুই দেশ থেকে ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। আর্থিক মন্দার কারণে ব্রিটেন ইতিমধ্যেই হিমশিম খাচ্ছে। অভিবাসীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তাই ব্রিটিশ সরকার অভিবাসন আইন আরো কঠোর করছে। সানে লেখা নিবন্ধে ক্যামেরন বলেন, ‘ব্রিটেন আর বেশি দিন অভিবাসীদের জন্য খুব বেশি সহানুভূতিশীল রাষ্ট্র থাকবে না। যত দ্রুত সম্ভব কাজ জোগাড় করার নিশ্চয়তা দিতে না পারলে ছয় মাস পরেই অভিবাসীদের বেকারভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু করা হবে।’ পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন অভিবাসীদের সামাজিক আবাসন সুবিধা পেতে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে। অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া বাড়িওয়ালাদেরও জরিমানা করা হবে। সূত্র : এপি, বিবিসি/কালের কণ্ঠ