Saturday - March 15, 2025 2:33 AM

Recent News

দ্য আয়রন লেডি

প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারমুদি দোকানির মেয়ে । ১৯২৫ সালের ১৩ অক্টোবর। লিঙ্কনশায়ারের গ্রানামের এক সাধারণ মুদি দোকানির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মার্গারেট থ্যাচার। তার বাবা আলফ্রেড রবার্টস মূলত ছিলেন নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের বাসিন্দা। তবে তার মা বিট্রাইস ইথেল ছিলেন লিঙ্কনশায়ারের অধিবাসী। মার্গারেটের শৈশব কেটেছে গ্রানামে রেললাইনের ঠিক পাশের একটি বাড়িতে। আর তার বাবা আলফ্রেড রবার্ট এখানে দুটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন। তার বাবা স্থানীয় রাজনীতি এবং ওখানকার মেথডিস্ট চার্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে মার্গারেটও একজন কড়া মেথডিস্ট হিসেবে বেড়ে উঠেন। বাবার কাছ থেকেই মূলত পরবর্র্তী জীবনের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন  মার্গারেট। কারণ তার বাবা ১৯৪৫-৪৬ সালে গ্রানামের মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে লেবার পার্টির বিজয় মার্গারেটের বাবাকে মেয়রের পদ ছাড়তে বাধ্য করে। মার্গারেট হান্টিংটন রোডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও অল্প সময়ের মধ্যেই স্কলারশিপ পেয়ে গ্রানাম গার্লস স্কুলে যোগ দেন। সেখানকার পাঠ চুকিয়ে তিনি বিশ্বখ্যাত অঙ্ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
যে জীবন উত্থানের..
মেয়ের রাজনীতির প্রতি বাবা রবার্টের অনুরাগ ছিল ভালোই। আর সেই অনুরাগের কারণেই হয়তো খুব ছোটবেলা থেকেই অদ্ভুত এক নেতৃত্বগুণ পেয়ে বসেন মার্গারেট। স্কুলে থাকাকালীন সময়েই স্কুলের হেডগার্ল ছিলেন তিনি। রসায়ন শাস্ত্রের বৃত্তি নিয়ে অঙ্ফোর্ডের সামারভিল কলেজে পড়াকালীনই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর কেবলই এগিয়ে চলা। ১৯৪৬ সালে ছাত্রাবস্থায় তিনি কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৫০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন মার্গারেট। তখন আস্তে আস্তে ঊধর্্বগামী হতে থাকে মার্গারেটের জনপ্রিয়তার পারদ। সুন্দরী ও মেধাবী হওয়ার কারণে খুব সহজেই মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার একটা বিরল ক্ষমতা ছিল তার। ১৯৫১ সালে তিনি সম্পদশালী ব্যবসায়ী ডেনিস থ্যাচারকে বিয়ে করেন। এরপরই মার্গারেট রবার্ট হয়ে যান মার্গারেট থ্যাচার।
১৯৫৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে পা রাখেন সংসদে। ১৯৭০ সালে তিনি শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। সরকারি ব্যয় বরাদ্দে বড় রকমের কাটছাঁট করে শুরুতেই সবার নজর কাড়েন মার্গারেট। সাত থেকে এগারো বছরের স্কুলপড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে দুধের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন। এরপর ১৯৭৫-৭৯ সাল পর্যন্ত হাউস অব কমনসে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন। একই বছর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দখল নেন পৃথিবীর তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
একটানা ১১ বছর
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একটানা সাড়ে ১১ বছর কাটিয়েছেন থ্যাচার। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি যে কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শাসন ক্ষমতার হিসাবে দীর্ঘতম। তার চেয়ে বড় বিষয় তিনিই দেশটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯০-এর নভেম্বর মাসে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন মার্গারেট থ্যাচার। ছেড়ে দেন দলীয় প্রধানের পদও। এরপরও দুই বছর ফিনশলের সাংসদের পদে ছিলেন তিনি।
ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক্কালে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সেই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন, ‘আমি এটা দেখে খুশি যে, এখানে আসার আগে ব্রিটেনের যে অবস্থা ছিল, তার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় তাকে রেখে যাচ্ছি।’
প্রকৃত অর্থেই এমন সাফল্য অর্জন করেছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। ৭০-এর দশকের শেষ ভাগে ভেঙে পড়া অর্থনীতি আর জঙ্গি আন্দোলনে দীর্ণ শিল্পচিত্র কঠোর হাতে বদলে দেওয়াই থ্যাচারের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব।
ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা গ্রহণের পর নৈতিক রাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং সার্বিক অধিকারের ওপর জোর দেন তিনি।
১৯৮৭ সালে এক ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন, ‘সমাজের ওপর আর কোনো কিছু থাকতে পারে না।’
গত সোমবার ৮৭ বছর বয়সে মারা গেছেন ব্রিটেনের সাবেক এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।
সত্যিকারের লৌহমানবী
মার্গারেট থ্যাচারকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মেধাবী রাজনীতিক ও ক্ষমতাশালী মহিলা মানা হয়। তার রাষ্ট্র পরিচালনার ধরন এখনো বিশ্বের বড় বড় দেশের শাসকদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে পেঁৗছতে তাকে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছিল। পেরোতে হয়েছিল হাজার প্রতিবন্ধকতা। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় থাকাকালীন তার গৃহীত অনেক সিদ্ধান্তই দারুণ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। থ্যাচার যখন ক্ষমতায় এলেন তখন ব্রিটেনে জিনিসপত্রের দাম ছিল বেশ চড়া। বাজেট ঘাটতি ছিল বিপুল। অসন্তোষের জেরে টালমাটাল দশা শিল্পক্ষেত্রের। তখনই কড়া হাতে হাল ধরলেন থ্যাচার। সরকারি খরচ কমিয়ে রাশ টানলেন দ্রব্যমূল্যের ঊধর্্বগতির। দরজা খুলে দিলেন বেসরকারি পুঁজির জন্য। সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা পাল্টে আধুনিক অর্থনৈতিক ধারণার সূচনা করলেন। শ্রমিক আন্দোলনের ব্যাপারে দেখালেন অনমনীয় মনোভাব। খনি শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে অনড় রইলেন প্রায় পুরো এক বছর। তার অদম্য মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হন শ্রমিক নেতারা। মার্গারেট থ্যাচারের হাত ধরে ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে ব্রিটেন।
১৯৭৬ সালে রাশিয়াকে উদ্দেশ করে একটি বক্তব্য রাখার পর তাকে ‘আয়রন লেডি’ বা ‘লৌহমানবী’ উপাধি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়নের সংবাদ মাধ্যমগুলো। এরপর থেকেই তিনি সারা বিশ্বে আয়রন লেডি হিসেবে সুপরিচিত। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসী মনোভাবকে তাচ্ছিল্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের কর্তৃত্বের কাছে রাশিয়ানরা কিছুই না।’
বিশ্বে একরোখা রাজনীতির জন্য থ্যাচারের অন্যরকম পরিচিতি ছিল। বলা চলে নারীনেত্রীদের মধ্যে একরোখা নীতির শাসনের পথপ্রদর্শক তিনি। ঐকমত্যের দর্শনে মার্গারেট থ্যাচারের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। তিনি বলতেন, ‘একমত হওয়া মানে আসলে সব বিশ্বাস, নীতি, মূল্যবোধ, নিয়ম বাদ দিয়ে এমন একটা বিশ্বাসে পেঁৗছানো, যাতে কেউই বিশ্বাস রাখেন না এবং যার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও জানান না।’
নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকার কারণে তিনি বিশ্বনেতাদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়ান। নিজের দেশের অভ্যন্তরীণ রাষ্ট্রনীতি যাই থাকুক না কেন বিশ্বে তিনি সবসময় ভারসাম্য রেখে চলতেন। থ্যাচারের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান। রিগানের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছিলেন থ্যাচার। থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর ১৯৯১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এইচ ডবি্লউ বুশের হাত থেকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ গ্রহণ করেন।
আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে
ক্ষমতা গ্রহণের পর উত্তপ্ত ও বিক্ষিপ্ত ব্রিটেনে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল থ্যাচারকে। তার আর্থিক সংস্কার বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, দেশকে সমৃদ্ধ দক্ষিণ আর গরিব উত্তর এই দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন থ্যাচার। তার আমলেই ব্রিটেনে বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখ ছুঁয়েছিল।
বেকারত্বের এই পরিমাণকে ত্রিশ দশকের আর্থিক সংকটের পর সবচেয়ে বেশি বলে মানা হয়। ফলে সাফল্য সত্ত্বেও একসময় জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেন থ্যাচার। ১৯৮১ সালের এক জনমত জরিপে তাকে দেশের সর্বকালের সবচেয়ে অপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দেওয়া হয়। তবু নিজের সব সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন থ্যাচার। অজনপ্রিয়তার সেই হাওয়া খুব অল্পতেই ঘুরিয়ে দিলেন থ্যাচার। ফকল্যান্ড যুদ্ধের জোরে জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনলেন। দেশপ্রেমের জোয়ারে ১৯৮৩ সালে আবারও জিতলেন। ১৯৮৭ সালে আবার ক্ষমতায় এলেন আরও বড় ব্যবধানে জিতে। আর তারপর একরোখা থ্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হলো তার নিজের দলেই। থ্যাচারের বসানো একটা করের বিরুদ্ধে তখন উত্তাল বিক্ষোভ। দাঙ্গা পরিস্থিতি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনাস্থা আনলেন দলের বিরোধীরা। থ্যাচার বললেন, ‘আমি লড়াই চালিয়ে যাব। জেতার জন্যই লড়ব।’ কিন্তু তারপরই কোথায় যেন হারিয়ে ফেললেন সেই লৌহমানবীসত্তা। পরের দিনই পদত্যাগ করলেন। ১৯৯০-এর ২৮ নভেম্বর শেষ হয় থ্যাচার যুগ। তারপরও দুই বছর অবশ্য ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু ক্রমশই গুটিয়ে নিচ্ছিলেন নিজেকে। ২০০২ সালে ‘স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হওয়ার পর জনসম্মুখে আসা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিলেন। শেষের দিকে স্মৃতিও প্রতারণা করছিল। অস্কারজয়ী ‘দ্য আয়রন লেডি’ ছবিতে সেই অসহায় থ্যাচারকেই ফুটিয়ে তুলেছিলেন মেরিল স্ট্রিপ।
ফকল্যান্ড ইস্যু
ক্ষমতায় এসেই থ্যাচার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ থ্যাচারিজম নামে পরিচিত। মুক্তবাজার অর্থনীতি, উদ্যোক্তাবাদ প্রভৃতি মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন মার্গারেট। তিনি রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর বিষয়ে সদা সজাগ ছিলেন। তার এককেন্দ্রিক রাজনৈতিক ভাবনা তাকে ‘ঝামেলাপূর্ণ’ চরিত্র যেমন বানিয়েছে, তেমনি তার নীতি ও সরকার পরিচালনার ধরন কোন্দলও তৈরি করেছে। ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা বিতর্কিত ফকল্যান্ড দ্বীপ দখল করে নেয়। দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিতর্কিত ফকল্যান্ড দ্বীপ বিনা রক্তপাতে পুনঃদখল করেন থ্যাচার। এর ফলে ব্রিটেনে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস ছিল না
সমাজতন্ত্রে তার বিশ্বাস ছিল না। তাই খোলাখুলিই বলতেন, সমাজতন্ত্র ‘আর্থিক দুরবস্থার’ জনপ্রিয় কারণ। সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে পেয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানকে। তাদের ইন্ধনেই ভেঙে পড়েছিল বার্লিন প্রাচীর। আবার সোভিয়েত ইউনিয়নকে সমাজতন্ত্রের নিগড় থেকে মুক্ত করার চেষ্টা শুরু করেছিলেন যিনি, সেই মিখাইল গরবাচভ সম্পর্কে থ্যাচারের মন্তব্য ছিল, ‘ওর সঙ্গে কাজ করা চলে’। তাই ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ২৩ বছর পরও বোধহয় তাকে ‘ক্ষমা’ করতে পারেননি এ দেশের বামপন্থিরা।
ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতা হ্রাস
ক্ষমতায় থাকাকালে থ্যাচার কঠিন শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পড়েন। শ্রমিকদের সংগঠন ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতা হ্রাসে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। শ্রমিকরাও নাছোড়বান্দা। তারা অব্যাহতভাবে ধর্মঘট চালিয়ে যায়। দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা ধর্মঘট শেষমেশ সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুরো ব্রিটেন সেই সময় বিভক্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দীর্ঘ অমীমাংসিত এই বিষয় সমাধান করেন। এখানেও তার কূটনৈতিক সাফল্য প্রশংসা কুড়ায়।
ব্যক্তিগত জীবন ও শেষ দিনগুলো
১৯৫১ সালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ডেনিস থ্যাচারকে বিয়ের মাধ্যমে মার্গারেটের ব্যক্তিগত জীবনের রং বদলায়। এক সময় একটি তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হন ডেনিস। ১৯৫৩ সালে এ দম্পতি মার্ক ও কারোল নামে দুটি যমজ বাচ্চা সন্তানের জনক-জননী হন। ২০০৩ সালে তার স্বামী ডেনিস থ্যাচার মারা যান। এর মধ্যেই ২০০২ সালের পর থেকে থ্যাচার বেশ কয়েকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং সে সময় থেকেই একান্তে সময় কাটাতে থাকেন তিনি। শেষ দিনগুলোতে খুব কমই জনসম্মুখে দেখা গেছে থ্যাচারকে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আয়োজনে তার ৮৫তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত থাকতে হয় তাকে।বাংলাদেশ প্রতিদিন
0Shares

COMMENTS