ফিলিস্তিনে অর্থনৈতিক সাহায্যের অঙ্গীকার করলেন কেরি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করেছেন। সফরকালে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে তার অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক শেষে কেরি সাংবাদিকদের বলেন, শান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সহায়ক প্রক্রিয়ার জন্য সব পক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এর মধ্য দিয়েই তারা আলোচনা টেবিলে ফিরে আসতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কেরি বলেন, ফিলিস্তিনের অর্থনীতিকে সাহায্যের জন্য তিনি শিগগিরই নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন। তবে ফিলিস্তিন-ইসরাইল দীর্ঘদিনের কঠিন ইস্যুর মোকাবিলা করা হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনার কথা তিনি তুলে ধরেননি। কেরি আরও বলেন, অতীতের শুভ উদ্দেশ্য ও ব্যর্থ চেষ্টা যা আঞ্চলিক কূটনীতিকে বেকায়দায় ফেলছে সে ব্যাপারে তিনি সজাগ। তিনি বলেন, উভয় পক্ষকে যাতে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কেরি বলেন, বহু মাসব্যাপী কূটনৈতিক প্রয়াস চালাতে তিনি অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি নতুন শান্তি উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া ২০০৮ সালের শেষদিকে স্থবির হয়ে পড়ে। এদিকে ইসরাইল পশ্চিমতীরে ও পূর্ব জেরুজালেমে বসতিস্থাপন অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় শান্তি আলোচনা শুরু করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে ফিলিস্তিন। অপরদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শান্তি আলোচনা শুরু হতে হবে নিঃশর্তভাবে। কোনো রকম শর্ত আরোপ করে আলোচনা হবে না বলে তিনি জানান। মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রাক্কালে কেরি অবশ্য বড় রকমের প্রত্যাশা করেননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেন, এ যাত্রায় তার মধ্যপ্রাচ্য সফর মূলত শোনা ও পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল কেরির তৃতীয় দফা মধ্যপ্রাচ্য সফর। কেরি বলেন, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের জীবনধারার মানোন্নয়নের জন্য পশ্চিমতীরের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও অন্যান্য বাধা দূর করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, একইসঙ্গে ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে চেষ্টা করা হবে। ফিলিস্তিন, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে ভ্রমণের ব্যাপারে ইসরাইলের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণেই পশ্চিমতীরের অর্থনীতিতে দুরবস্থা দেখা দিয়েছে।সিনহুয়া/আমার দেশ