Saturday - March 15, 2025 2:25 AM

Recent News

জোর করে বিয়ে দেয়া বৃটেনে এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ

ডেস্ক: বৃটেনে জোর করে বিয়ে দেয়ার অপরাধে শাস্তির বিধান করে একটি আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ আইনের বলে জোর করে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে দোষী সাবাস্ত বাবা-মাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, জোর করে বিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে েিবচনা করে সরকার এখন এ ধরনের ঘটনার শিকার তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেছেন, জোর করে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি দাস প্রথার চেয়েও জঘন্য। নির্যাতন নিপীড়ন থেকে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব ঘটে। এ ধরনের ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আমরা এখন স্পষ্টভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই, জোর করে বিয়ের বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য এবং বৃটেনে এটা বরদাশত করা হবে না। বৃটেনের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অভিবাসীদের মধ্যে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনার বেশ প্রচলন রয়েছে। পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে স্থাপন করা ফোর্স ম্যারিজ ইউনিটে (এফএমইউ) ২০০৮ সালে ১৬০০ জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনার অভিযোগ এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বৃটেনে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারগুলোই জড়িত রয়েছে। এ ধরনের কিছু ঘটনা বৃটেনেই ঘটানো হয়ে থাকে। অন্য কোন দেশের কেউ এতে জড়িত থাকেন না। আর কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে পাত্র বা পাত্রীকে এনে অথবা বৃটেন থেকে পাত্রপাত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বৃটেন তাই বাংলা, পাঞ্জাবি এবং গুজরাটির মতো ভাষাভাষী জোর করে বিয়েবিরোধী তরুণ-তরুণীকে রক্ষা করতে বড় ধরনের অভিযোন শুরু করেছে। এফএমইউ বলেছে, বৃটেন থেকে বের করে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়া তরুণ-তরুণীদেরকে তারা সহযোগিতা করবে। তারা জানিয়েছে জোর করে বিয়ে দেয়ার শিকারদের মধ্যে ৮৫ জনই হচ্ছে তরুণী। আর ১৫ ভাগ তরুণ। বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বছরের শুরুর দিকে জোর করে বিয়ের দেয়ার অপরাধ মোকাবিলার প্রশ্নে জানিয়েছিল, এজন্য আরও আটটি অতিরিক্ত কারাগার প্রয়োজন হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ বছর এফএমইউ ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনার বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪ ভাগেরই বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে। আর এদের অর্ধেকই ছিলেন পাকিস্তানের। অন্যরা বাংলাদেশ, ভারত , আফগানিস্তান ও তুরস্কের প্রবাসী ছিলেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।মানবজমিন     
0Shares

COMMENTS