Saturday - May 18, 2024 9:40 PM

Recent News

গ্রামীণফোনের ১০ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই -গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান

গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেছেন, গ্রামীণফোনের টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের কল্যাণে থাকার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা নেই। এ টাকা গ্রামীণফোন গ্রামীণ টেলিকমকে দিলেও বর্তমানে এর কোন হদিস মিলছে না। এ টাকার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক পয়সা গ্রামীণ ব্যাংকে আসেনি। গতকাল সোমবার অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রায় আট মাস আগেও এ জাতীয় কথা বলেছিলেন তিনি। অবশ্য তখন এই অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা বলে তিনি জানিয়েছিলেন। 
তবে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’ এছাড়া ঈদের আগে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে গঠিত কমিশন প্রতিবেদন জমা দেবে না বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। 
গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম ৬ বছরে গ্রামীণফোনের আয়ের ৩৫ ভাগ পাওয়ার কথা গ্রামীণ ব্যাংকের। এর ৬ বছর পর ৬৫ ভাগ পাওয়ার কথা। এ টাকা কোথায় যাচ্ছে? গ্রামীণ টেলিকম নামের একটি কোম্পানি রয়েছে যেটিকে এখন বলা হচ্ছে এটি গ্রামীণ ব্যাংকের না। কমিশনকে এখন এটিই খুঁজে বের করতে হবে।
এই অর্থ কোথায় গেছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ টাকাটা গ্রামীণফোন দিয়েছে গ্রামীণ টেলিকমকে। টেলিকম টাকা কি করেছে তা জানা নেই। টেলিকম গ্রামীণ ব্যাংকের আওতায় না।
অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কর সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা ছিল। ওটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশনের রিপোর্ট আমি হাতে পাইনি। এটা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। 
গ্রামীণ ব্যাংককে সরকারি ব্যাংক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তো একটি সরকারি ব্যাংক। এটা জনগণের সম্পত্তি। কারণ এটা বানিয়েছে সংসদ। যেখানে সরকার চেয়ারম্যান এবং দুইজন পরিচালক নিয়োগ দেয়। প্রাইভেট ব্যাংকে কি সরকার চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়? এটা প্রাইভেট ব্যাংক হয় কি করে?
গ্রামীণ ব্যাংকে ড. ইউনূসের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, ইউনূস সাহেব একটা গরীব মানুষের ব্যাংক তৈরি করেছেন। সরকার এটার সাথে পার্টনারশীপ করেছে। সরকার ব্যাংকটি করে তাকেই চালাতে দিয়েছিল। উনি ৩০ বছর এটা চালিয়েছেন। এখানে মাসে এখন ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর বিতরণ হয় এবং একই পরিমাণে আদায় হয়। আর এগুলো হয় ২ হাজার ৫০০ শাখা থেকে। 
গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে সরকার নতুন কোন পদক্ষেপ নেবে না বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ভালো চলছে। বৈঠকের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কর নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। ৬ মাসের একটা ব্যাপার এখানে আছে। ওটা নিয়েই কথা হয়েছে।ইত্তেফাক

0Shares