Saturday - May 18, 2024 11:32 PM

Recent News

গ্রহাণুপুঞ্জ, রোবট ও ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে বিশ্ব

গ্রহাণুপুঞ্জ, রোবট ও ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে বিশ্ব

গ্রহাণুপুঞ্জ, রোবট ও মারণাত্মক ভাইরাস পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পরিবর্তন, পারমাণবিক যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও রয়েছে। মানবজাতিকে ধ্বংস করার জন্য এসব যে কত মারাত্মক ঝুঁকি তা অনেকেরই চিন্তার বাইরে। কিন্তু এগুলোর সবই বাস্তব সম্ভাবনা। এমনটিই জানিয়েছেন বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস ফাউন্ডেশান ও গ্লোবাল প্রায়োরিটিস প্রজেক্ট তাদের এক রিপোর্টে বলেছে, মানবজাতির জন্য মারাত্মক এসব ঝুঁকির মোকাবিলায় সরকারগুলোর নেই যথাযথ প্রস্তুতি। আর এসব ঝুঁকির কারণে বিশ্বের দশ শতাংশেরও বেশি জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। গ্লোবাল প্রায়োরিটিস প্রজেক্টের পরিচালক স্টিফেন ফারখার বলছে, ‘বিশ্ব বাস্তবেই এসব ঝুঁকির দ্বারপ্রান্তে, এসব কিছুই হয়তো এক বছরে ঘটবে না। কিন্তু এগুলো ঘটার সম্ভাবনা খুবই বাস্তব। এ ধরনের বিপর্যয় আমাদের বিশ্বকে আমূল বদলে দিতে পারে এবং সেই বদল হবে এক ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী পথে।’ এ ধরনের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সব প্রজন্মের মানুষ যায় না, তাই অনেকের এ ভয়াবহ পরিণাম উপলব্ধি করতে পারে না বলে রিপোর্টে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল উল্লেখ করে ফারখার বলেন,  ‘ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে এসব আশঙ্কা অমূলক নয়। আমরা ভাবি এসব ঘটার বাস্তব সম্ভাবনা কম, কিন্তু তা সঠিক নয়।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আসতে পারে গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাত, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ‘অজ্ঞাত ঝুঁকি’ থেকে। এর মধ্যে কিছু ঝুঁকি প্রাকৃতিক। আবার কিছু ঝুঁকি মানুষের তৈরি। যেমন- জলবায়ুর মারাত্মক পরিবর্তন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অগ্রগতিও নতুন নতুন মারাত্মক ঝুঁকির জন্ম দিয়েছে, যার মধ্যে আছে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন এবং জীববিজ্ঞানের নানা কৃত্রিম কর্মকাণ্ড যার থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের মারণাত্মক ভাইরাস। এই প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এসব ঝুঁকির বাস্তবতা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবিসি বাংলা/মানবজমিন

0Shares

COMMENTS