Wednesday - May 1, 2024 6:03 PM

Recent News

নিউইয়র্কে ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে করোনাকালীন সময়ে চাকরি পেল আয়েশা ও আকাশ

নিউইয়র্কে ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে করোনাকালীন সময়ে চাকরি পেল আয়েশা ও আকাশ

ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম ডেস্ক. নিউইয়র্ক : বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা লকডাউনে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ হয়ে পরেছেন বেকার। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বেকারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ কোটিরও বেশি। ফলে আর্থিক সংকটে রয়েছেন অনেক পরিবার। দৈনন্দিন প্রয়োজন ও খাদ্য সামগ্রীর জোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। দীর্ঘ ৬ মাস পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও ছন্দ ফেরেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।
ঠিক এমন ক্রান্তিকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেইনস্ট্রিম আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে মাত্র ৫/৬ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে শ্রমবাজারে নিজেদের অবস্থান গড়তে করতে সক্ষম হয়েছে আয়েশা সিদ্দিকি ও আকাশ ঘোষ। মহামারী করোনাকাল্নী সময়ে ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইনে ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে ক্লাস শুরু করেন তারা। নিয়মিত ক্লাস, প্র্যাক্টিস আর প্রশিক্ষকদের সার্বক্ষনিক তত্বাবধানে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে শ্রমবাজারে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে বিশ্বের জায়ান্ট কোম্পানী গুলো কর্মী ছাঁটাই করছে সেই সময়ে চাকরি পাওয়াটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার বলে দাবী করেন প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষার্থী।
এব্যাপারে শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ লকডাউন করে দেয়া হয়। তখন ঘরে বসে অলস সময় পার না করে ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে অনলাইনে “কিউএ অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ে প্রশিক্ষন নেয়া শুরু করি। যেহেতু আমি দুই সন্তানের জননী, তাই ঘর সংসার সামলে স্বশরীরে ক্লাসে গিয়ে কখনো কোর্স করতে পারিনি। কিন্তু ট্রান্সফোটেক একাডেমির সুবাদে পুরোপুরিভাবে বাসায় থেকে ক্লাস করে, এমনকি চাকরির জন্য ভাইভা পরিক্ষা দিলাম ঘরে বসে। আর কোর্স শেষ করার কিছুদিনের মধ্যে চাকরি পেয়েও গেলাম অনলাইনে।
অপর শিক্ষার্থী আকাশ ঘোষ বলেন, বিশ্বজুড়ে নামীদামী কোম্পানী যখন তাদের কর্মী ছাঁটাই করছে তখন চাকরি পাওয়াটা সত্যিই সোনার হরিণ পাওয়ার মত। আমি অনেক যায়গাতে চাকরির জন্য ভাইভা দিয়েছিলাম কিন্তু কোথাও কিছু হচ্ছিলো না। কিন্তু ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে প্রশিক্ষন নেয়ার পরে মাত্র ৬ টা ভাইভা দেয়ার পরই স্থায়ীভাবে চাকরি পেয়েছি। যা আমার জন্য সত্যিকার অর্থেই অকল্পনীয় ছিলো।
এব্যাপারে ট্রান্সফোটেক একাডেমির পরিচালক আশরাফ সিদ্দিকি বলেন, মহামারী করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা কোর্স ফি কমানো, চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান, এমনকি বিনামূল্যেও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। আমরা ইউনিক সিক্স স্টেপ প্রসেস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষন দেই, ফলে চ্যালেঞ্জিং চাকরির বাজারে যায়গা করে নিতে পারে খুব সহজেই। তাছাড়া দক্ষ জনবল তৈরিতে ট্রান্সফোটেক একাডেমি সবসময় বদ্ধ পরিকর থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রেস রিলিজ

17Shares