Saturday - May 4, 2024 4:45 PM

Recent News

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের বার্ষিক ডিনার

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের বার্ষিক ডিনার

ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ৯ শ বাংলাদেশি কাজ করছেন। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে তাদের উল্লেখযোগ্য সুনাম রয়েছে। এছাড়া তারা নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং কম্যুনিটি ও দেশের উন্নয়নেও কাজ করছেন। বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপা) বার্ষিক ডিনারের অতিথিরা এসব কথা বলেন। গত ১৭ নভেম্বর জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনো পার্টি হলে তৃতীয় বার্ষিক এ ডিনারের আয়োজন করা হয়। ডিনারে নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বাপার সদস্যরা পরিবার পরিজন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি এলটি শামসুল হক। অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জেনারেল শামীম আহসান, ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তা ক্লাল ক্লার্ক, নিউইয়র্ক সিটির পরিবহন বুরো প্রধান থমসন চেন। কীনোট স্পীকার ছিলেন নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পার্সোনাল বুরো প্রধান ডিনা পুজুতি এবং বাপার প্রথম সহসভাপতি এলটি সুজিত খান। কীনোট স্পীকারের বক্তব্যে ডিনা পুজুতি বলেন, বাপাকে ধন্যবাদ আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার জন্য। আমি নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ৩৫ বছর চাকরি করছি। পুলিশ বিভাগে চাকরির আগে ১২ বছর অধ্যাপনা করেছি এবং ২০ বছর আগে মা হয়েছি।
তিনি তার দীর্ঘ চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুলিশে সাফল্য পেতে হলে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সেই সাথে কোন সুযোগ গ্রহণ করবেন এবং কী করবেন না তার সিদ্ধান্ত বা চয়েস নির্ধারণ করতে হবে।
শাামীম আহসান বলেন, বাপার প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি। তাদের কাজ এবং নিজ দেশের প্রতি ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তারা আজ বিউটিফুল বাংলাদেশ উপস্থাপন করেছে। তবে আমি বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিরাকল উন্নয়ন করেছে। আমি আশা করি বাপা অতীতের মত কুম্যনিটির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পরলন করবে।ক্লাল ক্লার্ক বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮৫০০ পুলিশকে ট্রেনিং দিয়েছি। এখান থেকে আমরা পুলিশ কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে নিয়ে ট্রেনিং ক্যাম্প করেছি। সেই ট্রেনিং ক্যাম্পে তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছি। যা তারা আগে জানতো না। এমন কি কীভাবে আত্মরক্ষা করতে হয় তাও তারা জানতো না।
থমসন চেন বলেন, ২০১৫ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত বাংলাদেশী পুলিশ অফিসাররা বাপা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৮০ জনের মত। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ ডিপার্টমেন্টে প্রায় ৯ শত বাংলাদেশি কাজ করছেন, অন্যান্য কম্যুনিটির প্রায় ৩ হাজার সদস্য আছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছেন এবং তারা নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টেও সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। আমি প্রায় ৩৬ বছর ধরে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করছি।
সভাপতি শামসুল হক বলেন, বাপার যারা সদস্য তাদের সবার জন্ম বাংলাদেশে। কিন্তুু এখানে এসে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রথমে ট্রাফিকে ঢুকেছেন এবং পরে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশে ঢুকেছে। আবার অনেকে পুলিশে ঢুকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সার্জেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ছয় জনকে এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তারা হলেন, ওম্যান অব দা ইয়ার ডিনা পুজুতি, ম্যান অব দা ইয়ার থমসন চেন, হিরোজিম এওয়ার্ড মিসোস্টিস ফামিলা, কম্যুনিটি সার্ভিস এওয়ার্ড ইমাম খালিদ লতিফ, পুলিশ অব দা ইয়ার আতিক হোসেন ও তাহের আহমেদ এবং সিভিলিয়ান এওয়ার্ড ট্রাফিক ম্যানেজার মোহাম্মদ এম রহমান। তাদেও হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন সভাপতি শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজিত খান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী তানভীর শাহীন ও জারিন মাইশা।

0Shares

COMMENTS