Thursday - May 2, 2024 2:03 AM

Recent News

প্রবাসীদের বিনা অর্থব্যয়ে বাংলাদেশে যাতায়াত এবং বারতি উপার্জনে “ব্যাকপ্যাক “

প্রবাসীদের বিনা অর্থব্যয়ে বাংলাদেশে যাতায়াত এবং বারতি উপার্জনে “ব্যাকপ্যাক “

ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম ডেস্ক, পেন্সিল্ভেনিয়া : প্রবাসে এত শত কর্ম ব্যস্থতার মাঝে কিংবা অর্থনৈতিক সম্যসার থাকার কারনে কে কখন নিজ মাতৃভূমিতে বাবা/মা/ছেলে/মেয়ে কিংবা পরিবার পরিজন, কি সুস্থ, কি অসুস্থ যে কোন খবরের সংবাদে দেশে যাওয়া হয় না। হঠাৎ করে দেশে যাওয়াটা অর্থনৈতিক একটা বিরাট কারন হয়ে দারায়। আর এই উপায় থেকে রেহাই দিতে প্রবাসীদের মাঝে এক সুখবর বয়ে এনেছে বাংলাদেশের দুই ত্রুন উদ্ভাবক এর আবিষ্কৃত ট্রাভেলার এ্যাপ “ব্যাকপ্যাক”। এই এ্যাপ দিবে আপনাকে বিনা অর্থ ব্যয়ে দেশে যাবার সহজ সমাধান সহ অতিরিক্ত অর্থ আয়ের সুবিধা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নটরডেম কলেজে পড়া দুই বন্ধু ফাহিম মাসউদ আজিজ এবং সাকিব সৌর মিলে শুরু করেছেন “ব্যাকপ্যাক “। আমেরিকার সিলিকন ভ্যালীতে অবস্থিত এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৪ সালে। এরি মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া এই কোম্পানির অর্থায়নে রয়েছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান Y-Combinator এই প্রতিষ্ঠানের আর একটি সফল বিনিয়োগ হলো Airbnb ।

টেক স্টাট-আপ কোম্পানি ব্যাকপ্যাকের সাথে ট্রাভেলিং এর পুরো প্রক্রিয়াটি খুব চিন্তা ভাবনা করে করা হয়েছে যা কিনা একজন ট্রাভেলারের জন্য সন্তোষজনক। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন ট্রাভেলার কমপক্ষে ৩০০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ৯০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রতি ট্রিপে উপার্জন করতে পারবে, তবে অর্থের পরিমান নির্ভর করবে ট্রাভেলারের লাগেজে কতটুকু খালি জায়গা আছে তার উপর। একজন ট্রাভেলার যদি তার হ্যান্ডব্যাগ এবং ক্যারি অন ছাড়া বাকি সব লাগেজে গ্লুতে ব্যাকপ্যাকের জিনিষ নেয় তবে তা থেকে ট্রাভেলার যা আয় করবে তার অধিকাংশ সময়েই তা হয় আমেরিকা বাংলাদেশ যাওয়া আসার টিকেটের মুল্যের সমান বা কাছাকাছি। এর জন্য যা করতে হবে তা হলো ট্রাভেলার কে ব্যাকপ্যাক সাইন আপ (link:www.backpackbang.com/fly)or  call+1 650 319 8816) করতে হবে এবং বাংলাদেশে যেতে হবে এই বাড়তি উপার্জন টি পাবার আশায়।

উন্নত প্রযুক্তি ও ডিজাইন এবং এক দল দক্ষ সাপোর্ট স্টাফ এর মাধ্যেমে পুরো প্রক্রিয়াটি পরচালিত, যা কিনা ট্রাভেলারদের বাংলাদেশে বেড়াতে আসাকে করে দিয়েছে অত্যান্ত সহজলভ্য এবং সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন ট্রাভেলার ব্যাকপ্যাকের সাথে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ট্রাভেল করেছে এবং এই সংখ্যাটি দিন দিন প্রবাসীদের মাঝে বেড়েই চলেছে। মুল আইডিয়াটি আসলে খুব সাধারন ব্যাকপ্যাক বাংলাদেশী ক্রেতা যারা ব্যাকপ্যাক ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আমেরিকা থেকে বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন তাদের সেই পণ্য টি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে পৌছে দেবার জন্য ট্রাভালারদের লাগেজের স্পেজ ভাড়া করছে। প্রত্যেকটি পণ্য ট্রাভেলারের বাসায় ডেলিভারড হয় এবং ট্রাভেলার নিজে পণ্য গুলো তার লাগেজে করে দেশে নিয়ে যায়। কোন পণ্য ট্রাভেলার নিতে না চাইলে সেটা তারা ফেরতও পাঠাতে পারে। এই সার্ভিসটি যারা একাধিকবার নিচ্ছে তাদের জন্য রয়েছে আনেক আকর্ষনিয় পুরুস্কার। আর এই সুবিধায় অনেক প্রবাসী নিজেদের কাজের সুবিধা অনুযায়ি বছরে ৪/৫বার দেশে যাতায়ত করছে। ইতিমধ্যই আমেরিকারর বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্য এই ব্যাকপ্যাক ব্যেপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই লক্ষ্য প্রবাসীদের মাঝে এই ব্যেকপ্যাক আরো জনপ্রীয় করার লক্ষ্য গত ১৭ই অক্টোবর নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার ‘ ভেন্টেজ কারী ‘রেস্টুরেন্ট এ একটি ডিনার পার্টির আয়জন করা হয়। সেখানে উপ্সতিত প্রবাসীদের কাছে এই ব্যাকপ্যাক এর বিস্তারিত তথ্য উপ্সতাপন করেন নিউইয়র্ক এর দায়েত্যে থাকা সাকিফ ইসলাম এবং অনুষ্ঠানে থাকা প্রায় চল্লিশজন প্রবাসী বাংলাদেশী তাদের সাথে ট্রাভেল প্যাকেজে দেশে যাবার জন্য চুক্তি পত্র সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের মাঝে লটারির মাধ্যমে একজন বিজয়ীকে বাংলাদেশে যাওয়া আসার টিকেট দেওয়া হয়। আর এরি ধারা বাহিকতায় ২৭শে অক্টোবর পেন্সিল্ভেনিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে ফিলাডেলফিয়ার কিং অফ পার্সিয়ার  “ দেশিভ্যিলেজ রেস্টূরেন্টে ‘ এই ব্যাকপ্যাক এর মাধ্যমে আগ্রহি টড়াভেলারদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং ডিনার পার্টির আয়জন করা হয়। সেখানেও ইতিমধ্যে পঞ্চাসের উপরে প্রবাসী অনুষ্ঠানে উপ্সতিত থেকে এই প্যেকেজে দেশে যাবার  আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে লটারির মাধ্যমে উপ্সতিত থাকা লাভ্লু মিয়াঁ একটি বাংলাদেশে যাবার ফ্রি টিকেট পান। অনুষ্ঠানে ক্মুনিটি ব্যাক্তিত ডাঃ ইব্রুল চৌধুরী প্রবাসেএই ব্যাকপ্যাক’ এর ব্যাপক সফলতা কামনা করেন। পেন্সিল্ভেনায় অনুষ্ঠান্টি প্রচারে সার্বিক ভাবে সহযোগিতায় করেছেন “স্পার্কো ট্রাভেল এন্ড টুরস “ এর কর্নধার এবং ক্মুনিটি ব্যক্তিত মফিজুল ইসলাম। ব্যাকপ্যাকের ভবিষ্যত পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ফাহিম মাসুউদ আজিজ বলেন আমেরিকার পাশাপাশি খুব শিঘ্রী আমরা অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের জন্য ব্যাকপ্যাকের এই সুবিধাটি আনতে যাচ্ছি জেনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুব খুশি। প্রবাসীরা সহজেই দেশে যাতায়াত করতে পারবে। আমাদের মুল লক্ষ্য দেশ থেকে বিদেশী পন্য পেতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে যাতায়তের জন্য যত অর্থনৈতিক প্রতিব্ধকতা আছে তা দূর করা। প্রবাসে এই ব্যাকপ্যেকের  জনপ্রীয়তার গল্প  ইতিমধ্য বাংলাদেশের বড় বড় জাতিয় দৌনিক প্রত্রিকা গুলিতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।

0Shares

COMMENTS