সাউথ জার্সিতে প্রবাস প্রজন্মের হ্যালোইন উৎসব
আটলান্টিক সিটি থেকে সুব্রত চৌধুরি- আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে আইরিশ ও স্কটিশরা আমেরিকায় ‘হ্যালোইন’ উৎসবের সূচনা করে। প্রতি বছর অক্টোবরের একএিশ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে মহাসমারোহে এই উৎসব পালিত হয় ।হ্যালোইন ডের অনেক আগে থেকেই এখানে তার পদধ্বনি শোনা যায়। ‘হ্যালোইন’ উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানকার দোকানগুলোতে হ্যালোইন কস্টিউম বিক্রির ধুম পড়ে যায়। ভ্যাম্পায়ার, জম্বি, ডাইনি, স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, রবিনের পোশাকই বেশি বিক্রি হয় হ্যালোইনে। পোশাকের পাশাপাশি বিক্রি হয় নানা বর্ণ, রঙে রঞ্জিত মুখোশ, কমলা রঙের ঝুড়ি।অনেক বাড়ি ও দোকানের সামনে মিষ্টিকুমড়া সাজিয়ে রাখা হয়। ফুলের দোকানে বিক্রি হয় বড় বড় আকারের কুমড়ো। কেউ কেউ আবার কুমড়ার গায়ে চোখ-নাক মুখ এঁকে রাখে, মাকড়সার জাল বিছিয়ে, কঙ্কাল টাঙ্গিয়ে ভৌতিক একটা পরিবেশ তৈরি করে।
“হ্যালোইন” খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও সেটা এখন সার্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে। সেই সার্বজনীনতা ছুঁয়েছে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মকেও।তাদের কাছে হ্যালোইনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার চাইতে এর বিনোদনের দিকটা বেশি আকর্ষণীয়। হ্যালোইনের আগে পরে কয়েক দিন এখানকার শিশু-কিশোরদের আনন্দ থাকে সীমাহীন।
নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের সাউথ জারসিতে বসবাসকারী প্রবাস প্রজন্মও ঐদিন এই হ্যালোইন উৎসবে মেতে উঠেছিল। সন্ধ্যা গড়াতেই অনেকে হ্যালোইন পোশাক পরিধান করে, হরেক রকমের মুখোশ পরে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ক্যান্ডির খোঁজে দরজায় কড়া নাড়ে।দরজা খুলতেই ভয় দেখিয়ে বলে ‘ ট্রিক এন্ড ট্রিট’, গৃহ কর্তারা সহাস্যে ক্যান্ডি বিলিয়ে দেয়।দোকানীরাও মুক্ত হস্তে ক্যান্ডি বিলােয়।এভাবে ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে করতে রাত বাড়ে,এবার ঘরে ফেরার পালা।আস্তে আস্তে হ্যালোইনের আনন্দও ফিকে হয়ে আসে,আবারো এক বছরের প্রতীক্ষা। আটলান্টিক সিটি মেয়র ডন গার্ডিয়ান তাঁর নির্বাচনী সদর দপ্তরে হ্যালোইন উৎসবের আয়োজন করেন। বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর এই উৎসবে অংশ নেয়।