Sunday - May 5, 2024 4:20 AM

Recent News

আটলান্টিক সিটিতে নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং তারেক রহমানের জন্ম দিন উদযাপন

আটলান্টিক সিটিতে নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং তারেক রহমানের জন্ম দিন উদযাপন

আটলান্টিক সিটি থেকে আকবর হোসাইন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অব নিউজার্সী ষ্টেটের জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রেস সচিব আশিক ইসলাম আওয়ামীলীগের সকল নেতাদের পরিবারের সদস্যদের  বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার তথ্য সংগ্রহের আহবান জানান। তিনি বলেন ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ নেতারা অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের পরিবার পরিজনকে বিদেশ পাঠানোর  প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারই অংশ হিসাবে তথ্যমন্ত্রী ইনুর পরিবার ইতিমধ্যে টেক্সাসে অবস্থান করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার আটলান্টিক সিটির বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টারে  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অব নিউজার্সী ষ্টেইট  কতৃক আয়োজিত তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডেপুটি প্রেস সচিব ও তারেক রহমানের প্রধান মুখপাত্র আশিক ইসলাম  এই আহবান জানান। নিউজার্সী ষ্টেইট বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম রহমান বাবুলের উপস্থাপনায় এবং সহ-সভাপতি মোঃ আলীর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্ম দিনে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশিক ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জহিরুল ইসলাম বাবুল, আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস, গিয়াস ঊদদিন পাঠান, আমিনুল ইসলাম,আবুল মনসুর, শামসুল হুদা, মোসাদ্দেকুল মাওলা , মোঃ দিদার, গিয়াসউদ্দিন পাঠান,শহিদুল আনোয়ার, নাসির উদ্দিন শিকদার, কাজী লিটন, সাখাওয়াত হোসাইন, নাজমুল হাসান এবং ওবাইদুল্লা চৌধুরী। জাতীয় সংগীত এবং দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।প্রধান অতিথী আশিক ইসলাম  বলেন সততা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের সবছেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব।তার এই জনপ্রিয়তাই ইশান্বিত হয়ে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার চারটি ধাপে তাকে অপদস্ত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে চুরির অপবাদ, দ্বিতীয় ধাপে তাকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ব করা, তৃতীয় ধাপে রাজনৈতিক ভাবে হেনস্থার মাধ্যমে কন্ঠরোধ এবং বর্তমানে তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।আওয়ামীলীগের একমাত্র প্রতিপক্ষ তারেক রহমান। তারেক রহমানের রাজনৈতিক শিষ্টাচার, দূরদর্শিতা এবং তৃনমুল পর্যায়ে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা দেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সব সময় আতংকে থাকে। তিনি বলেন তারেক রহমানকে  রাজণৈতিকভাবে দুর্বল করতে না পেরে তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ। আশিক ইসলাম বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায়  আওয়ামীলীগের অপপ্রচার রোধ করার জন্য পেইজবুক,টুইটার এবং ইনসট্রগ্রামে আওয়ামীলীগের দেয়া সকল বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসের মোকাবেলা করার আহবান জানান । আশিক ইসলাম আর বলেন অবশেষে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের ত্রানকর্তা ভারতের কলকাতার যাদুঘরে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের দুঃসময়ের ত্রানকর্তা জিয়াউর রহমানে নাম।কলকাতার নামকরা সাংবাদিক অরজিৎ চৌধুরীর রিপোর্ট অনুযায়ী “কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি প্রদর্শিত আছে। সেখানে জিয়াউর রহমানের পরিচয় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সেখানে আরও লেখা রয়েছে ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি তিনি। তিনিই জাতির উদ্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা প্রথম ঘোষণা করেন”। আশিক ইসলাম বলেন জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি বলার কারনে আইন করে কন্ঠ রোধ করা হয়েছে কিন্তু কলকাতার যাদুঘর আইনের মাধ্যমে বন্ধ করে কিনা তা এখন দেখার বিষয়।না হলে ধরে নিতে হবে কলকাতা যাদুঘরের বক্তব্য অনুযায়ী আওয়ামীলীগ সরকার বাস্তব সত্যকে মেনে নিয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি  অব নিউজার্সী ষ্টেইট নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতি ছিল প্রানবন্তকর। জন্মদিনের মুহুর্মুহুর শ্লোগানে আটলান্টিক সিটির বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টারে যেন আনন্দ ও মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল।

নিউজার্সী ষ্টেইট বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম রহমান বাবুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রচার বিমুখ নেতা আশিক ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি প্রদর্শিত আছে। সেখানে জিয়াউর রহমানের পরিচয় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সেখানে আরও লেখা রয়েছে ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি তিনি। তিনিই জাতির উদ্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা প্রথম ঘোষণা করেন।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছাড়া আর কোনো পরিচিত মুখের মুক্তিযোদ্ধার ছবি ওই জাদুঘরে নেই। তবে যুদ্ধের একটি ছবি আছে যেখানে এই প্রতিবেদকের পরিচিত কেউ নেই। তবে জিয়াউর রহমানের ছবিও সেখানে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে নেই, আছে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। জিয়ার ছবিটি যোদ্ধার নয়, সামরিক পোশাকেও নয়, সিভিল পোশাকে।

0Shares

COMMENTS