Sunday - April 28, 2024 11:52 PM

Recent News

কানেকটিকাটে শখের বাগান করে সফল হলেন ডেরিক ও ঝর্ণা

সাবেদ সাথী,নিউইংল্যান্ড থেকে-যুক্ত্রাষ্ট্রের কানেকটিকাটে বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে শখের বাগান করে সফলতা বয়ে এনেছে স্থানীয় ম্যানচেস্টারের ডেরিক ও ঝর্ণা।নিজেদের বাগানের শাক সবজি দিয়ে সংসারে যেমন অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি সবজি বিতরন করে প্রতিবেশীদেরকেও সাহায্য করছেন। [nggallery id=38] 

যুক্ত্রাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের বাড়ির সামনে বা ব্যাকইয়ার্ডে সবজি চাষ নতুন কোন ঘটনা নয়।প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই কম বেশী সকলেই নানা জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। বাড়ির পাশে সবজি চাষ শুধু অর্থ সাশ্রয়ই নয়,টাটকা শাক সবজি খাওয়ার সাধও মেটান অনেকেই।চলতি বছরেই ম্যানচেস্টারের এভেনডল রোডে বাড়ি কিনেছেন ডেরিক সুব্রত বৈরাগী ও ঝর্ণা রাহেলা বৈরাগী।তারা দু’জনে মিলে গ্রীষ্মের শুরুতেই শখ করে সবজি বাগান গড়ে তোলেন বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে।বাংলাদেশ থেকে নানা জাতের শাক সবজির বীজ সংগ্রহ করে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বিশাল এক সবজি বাগান।হরেক রকম শাক সবজিতে ভরা টগবগে এ বাগান দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়।৩হাজার স্কয়ারফুটের এ বাগানে রয়েছে পিয়াজ,রসুন,লাউ, কুমড়া, লালশাক,শশা, টমেটো, মরিচ, ডাঁটা, আলু, বেগুন, ঢেড়স,শীম,বরবটি,টমেটো,কলমী শাক,ওলকপি,পাটশাক ,কচুশাক,চিচিংগা,ঝিংগা ও পুইশাক। বাগানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আর সবজি কিনতে হয়নি।নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর প্রতিবেশীদের মাঝেও সবজি বিত্রন করেন নিয়মিত।এতে তারা যেমন আনন্দ পান তেমনি উপকৃত হন প্রতিবেশীরা।কানেকটিকাটের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী অর্ধসহস্রাধিক বাংলাদেশি নিজ নিজ বাড়ির পাশে সবজির চাষ করেছেন। প্রতি মাসে তাদের সাশ্রয় হচ্ছে গড়ে৭০/৮০ ডলার করে। একই সাথে তারা টাটকা সবজির স্বাধ গ্রহণ করছেন তৃপ্তি ভরে।

উল্লেখ্য,ডেরিক সুব্রত বৈরাগী’র দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপারা থানার ধারাবাসাইল গ্রামে।বাবা সুবোধ চন্দ্র বৈরাগী,স্ত্রী ঝর্ণা রাহেল বৈরাগী ও দু’কন্যা এনিসা ও এরিয়ানাকে নিয়ে দীর্ঘদিন কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টারে বাস করছেন।চলতি বছরে তার গড়ে তোলা সবজি বাগান স্থানীয় সকলের কাছে প্রশংশিত হয়েছে।আগামী বছর আরও বিশাল আকারে একটি সবজি বাগান গড়ে তুলবেন বলে ডেরিক ও ঝর্ণা আশা করছেন।তারা মনে করছেন তাদের এই বাগান দেখে প্রতিবেশীসহ বাংলাদেশী কমিউনিটির আরও অনেকেই এমন সবজি বাগান করতে এগিয়ে আসবে।

0Shares

COMMENTS