ব্রিটেনের কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর পদ থেকে আনোয়ার চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত
সাইদুল ইসলাম,যুক্তরাজ্য: কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর আনোয়ার চৌধুরীকে তার পদ থেকে গতকাল বুধবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাকে লন্ডনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যেখানে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর কারণে বর্তমানে তদন্ত চলছে। লন্ডন সফররত কেইম্যান আইল্যান্ডের সরকার প্রধান প্রিমিয়ার এলডেন ম্যাকলাইন ইউকে থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, এই তদন্ত চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। তবে কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি। গভর্নরের কার্যালয় থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ম্যাকলাইনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলা হয় যে মি. চৌধুরীকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে, এবং বিদেশী ও কমনওয়েলথ অফিসকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডেপুটি গভর্নর ফ্রাঞ্জ মেন্ডসন ভারপ্রাপ্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিরোধীদল নেতা ইজর্দার মিলার সম্প্রতি গভর্নরের অস্থায়ী অপসারণের কথা বলে এমন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, এ বিষয়ে তাদের আজকের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। মি. চৌধুরীর গভর্নর হিসেবে এ বছরের মার্চ মাসে দায়িত্ব নিয়েছেন। মিলার আরো বলেন, এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা এই বিষয়ে আশেপাশের কোনও তথ্য সম্পর্কে অবগত নই এবং আশা করি যে তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন হবে। ডেপুটি গভর্নর ফ্রাঞ্জ মেন্ডসনের কার্যনির্বাহী গভর্নরের নিয়োগের ফলে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের সুশাসনে নিশ্চিত কোন সমস্যা হবে না।
এদিকে সিএনএস আজ সরকারের আশপাশের বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলেছে, কিন্ত কেউ বিষয়টি সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে অনেকে মনে করছেন ৫৪ বছর বয়সী মি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলি যদি অসত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে তার পক্ষে অফিসে ফিরে যাওয়া খুব কঠিন এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।
ব্রিটেনে ব্রিটিশ সফল বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে অানোয়ার চৌধুরীকে অনেকটা রোল মডেল হিসেবে গণ্য করা হয়। সিলেটের সন্তান অানোয়ার চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে লন্ডনে ফিরিয়ে অানা তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর খবরে কমিউনিটিতে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশে বিদেশে পরিচিতি পান। খবরটি অাসলেই দুঃখজনক।