Sunday - May 5, 2024 12:32 PM

Recent News

মহাকাশে অবস্থান করছে এগারো রকমের ৪২০০ স্যাটেলাইট, ১৫০০টির মত কার্যক্ষম

মহাকাশে অবস্থান করছে এগারো রকমের ৪২০০ স্যাটেলাইট, ১৫০০টির মত কার্যক্ষম

সজিব খান: রাশিয়া, আমেরিকা ও চায়নাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন পর্যন্ত তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এগারো রকমের প্রায় ৪২০০ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ১৫০০টির মত বর্তমানে কার্যক্ষম। বাকি ২৭০০ এর মত স্যাটেলাইট অকেজো হয়ে গেছে। অকেজো হয়ে এগুলো মহাকশেই রয়ে গেছে। এই ২৭০০ অকেজো স্যাটেলাইট এর ভর ২০ লাখ কেজিরও বেশি।

মহাকাশে পাঠানো এসব স্যাটেলাইটের মধ্যে রাশিয়ার প্রায় ১৪৬০, আমেরিকার প্রায় ১২৫০, চায়নার ২৭০, জাপানের ১৫০, ভারতের ১৭৫ , ফ্রান্সের ৬০, জার্মানির ৫০, ইংল্যান্ডের ৪০, পাকিস্তানের ৩ , ইসরায়েলের ১১, ইরানের ১ , সৌদি আরবের ১২টি।

এর মধ্যে রয়েছে ‘জিইও স্যাটেলাইট’ দেখলে এটিকে সবসময় স্থির বলে মনে হবে। তবে জিইও স্যাটেলাইট তার নির্দিষ্ট গতিতে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে। প্রতিটি স্যাটেলাইটের কাভারেজের(ফুট প্রিন্ট) আয়তন গোটা পৃথিবীর তিনভাগের একভাগ অর্থাৎ এরকম মাত্র তিনটি স্যাটেলাইট দিয়েই গোটা পৃথিবীতে সংযোগ দেয়া সম্ভব।

জিইও কুইক ফায়ার রাউন্ড: এই স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০০ কিলোমিটার উপরে থাকে। এত দূরে থাকায় এর উপর মাধ্যাকর্ষনের কোনো প্রভাব নেই। জিইও স্যাটেলাইটের গড় আয়ু ধরা হয় ১৫ বছর। ব্যবহার করা হয় টিভি ও রেডিও ব্রডকাস্টিং, আবহাওয়ার খবর জানতে এবং পৃথিবীর টেলিফোন ব্যবস্থার মেরুদন্ড হিসেবে।

এলইও স্যাটেলাইট: জার্মানীর এই লোয়ার আর্থ স্যাটেলাইটটির নাম ‘CHAMP’, ২০০০ সাল থেকে এটি ভূপষ্ঠের চৌম্বকক্ষেত্রে রেকর্ড রাখছে এলইও স্যাটেলাইট। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৫০০-১৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রদক্ষিন করে। হাই কোয়ালিটি টেলিফোন কমিউনিকেশন কোম্পানী এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে।

লোয়ার আর্থ কুইক ফায়ার রাউন্ড: সবচেয়ে কাছের অরবিটে থাকায় এটি মাত্র ৯৫ থেকে ১২০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিন করে। টেলিফোন কমিউনিকেশনে এই স্যাটেলাইট খুবই উপযোগী। গোটা পৃথিবী কাভার দিতে এরকম স্যাটেলাইট ৫০-২০০ টির প্রয়োজন হয়। এই স্যাটেলাইটের গড় আয়ুও মাত্র ৮ বছর।

এমইও স্যাটেলাইট: এই স্যাটেলাইট জিওস্টেশনারী এবং লোয়ার আর্থ স্যাটেলাইটের মাঝামাঝি উচ্চতায় থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ১০০০০ কিলোমিটার। মাত্র ১২ টি মিডিয়াম আর্থ স্যাটেলাইট দিয়েই পুরো পৃথিবীতে সংযোগ দেয়া সম্ভব।

মিডিয়ার আর্থ অরবিট কুইক ফায়ার রাউন্ড: বেশ বড় এলাকা কাভার দিতে পারে এই স্যাটেলাইট পৃথিবীর ঘুর্ণনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ডাটা আদান প্রদানে সময় লাগে ৭০-৮০ মিলিসেকেন্ড। ১২ টি মিডিয়াম আর্থ স্যাটেলাইট দিয়েই পুরো পৃথিবীতে সংযোগ দেয়া সম্ভব
ক্রায়োসেট-২: সূর্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই স্যাটেলাইটগুলো কখনো অন্ধকারের মুখ দেখে না অর্থাৎ এরা সবসময় সূর্যের দিকে মুখ করে ঘোরে। পৃথিবীর সাথে সাথে এরা এমন গতিতে ঘোরে যাতে সূর্যের আলো সবসময় এর উপর পরে। সূর্যের আলো সবসময় এই স্যাটেলাইটের উপর একই জ্যামিতিক কোণে পড়ে।

হম্যান স্যাটেলাইট: হম্যান স্যাটেলাইট গুলো উপবৃত্তাকার হয়। এটি মূলত জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট দ্বারা ব্যবহৃত হয় গন্তব্যের অরবিটে সিগন্যাল পাঠাতে। লোয়ার আর্থ অরবিট স্যাটেলাইটও এটি ব্যবহার করে।

প্রোগ্র্যাড স্যাটেলাইট: প্রোগ্যাট স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর ঘূর্ণনের দিকেই ঘুরতে থাকে। এগুলোর অরবিটের সাথে পৃথিবীর কোণ (Inclination Angle) এক সমকোণের চেয়ে কম।

রেট্রোগ্রাড স্যাটেলাইট: প্রোগ্যাট স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর ঘূর্ণনের বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে। এগুলোর অরবিটের সাথে পৃথিবীর কোন এক সমকোনের চেয়ে বেশি।

পোলার স্যাটেলাইট: পোলার স্যাটেলাইট `NPOESS’ এই স্যাটেলাইটগুলো প্রতিবার ঘূর্ণনের সময়ই উত্তর এবং দক্ষিন উভয় মেরুর উপর দিয়ে যায়।এগুলোর অরবিটের সাথে পৃথিবীর কোণ সম্পূর্ণ এক সমকোণ। amadershomoy.com, 

0Shares

COMMENTS